মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) এনইসি সম্মেলন কক্ষে ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত ‘ডিজেএফবি উন্নয়ন সংলাপে’ তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ডিজেএফবির সভাপতি হামিদ-উজ- জামান। সঞ্চালনা করেন ডিজেএফবির সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
টাকার মান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন টাকার মান ধরে রেখে হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় এতো আলোচনা হচ্ছে। অর্থনীতির এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ডলারের দাম ১০০ টাকা পর্যন্ত হলে আমি খুশি হবো। এর বেশি হলে কষ্টদায়ক হবে। টাকার বিপরীতে অনেক আগে থেকে ডলারের দাম কম ছিল। এটা আরও আগে বাড়ানো প্রয়োজন ছিল। কারণ এবার বৈশ্বিক সংকটে ডলারের দাম বাড়ায় সার্বিকভাবে এর প্রভাব পড়েছে। এজন্য আমার ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে ১০০ টাকার কিছু কম অথবা ১১০ টাকার মধ্যে থাকলে ঠিক আছে। তবে এর বেশি হলে কষ্টদায়ক হবে।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমাদের সমাজে দুর্নীতি দৃশ্যমান। প্রকল্পে দুর্নীতি কমাতে অনেক প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। একনেকে প্রকল্প পাস হওয়ার এটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব চলে যায় নির্বাহী বিভাগের কাছে। সুতরাং চাইলেও অনেক কিছু করতে পারি না। তবে আমাদের নানান উদ্যোগে দুর্নীতি কিছুটা কমে এসেছে।
তেলের দামবৃদ্ধি প্রসঙ্গে বলেন, জ্বালানি তেল ভয়ংকর একটা জিনিস। এর দামের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তেলে দামবৃদ্ধি আইএমএফের পরামর্শে করা হয়নি। নিজেদের প্রয়োজনে করা হয়েছে। তেলের এই দাম এখন কমতে শুরু করেছে। সামনে আরও কমবে। তবে সেটি আগের পর্যায়ে যাবে না।