`ব্লু এবং গ্রিন বন্ডকে উৎসাহিত করছে বিএসইসি'

`ব্লু এবং গ্রিন বন্ডকে উৎসাহিত করছে বিএসইসি'
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন ‘আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি’।

৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) কর্তৃক আয়োজিত ‘সাউথ সাউথ এক্সচেঞ্জ: ইন্টারগ্রেটিং জেন্ডার ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড সোশ্যাল ইনক্লুশন ইন ক্লাইমেট বাজেটিং অ্যান্ড প্ল্যানিং প্রোসেসেস অ্যান্ড ইনোভেটিভ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইন দ্যা এশিয়া-প্যাসিফিক রিজিয়ন’ শীর্ষক সম্মেলনে জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি অপশনগুলো আলোচনা করতে গিয়ে  তিনি একথা বলেন।

ইউএনডিপির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের হয়ে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। এসময় তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর সাথে সাথে ইউরোপ-আমেরিকাতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা থেকেই বোঝা যায় প্রকৃতি কতটা শক্তিশালী। মানবসৃষ্ট নানা কর্মকাণ্ড, জীবাশ্ম জ্বালানীর অত্যাধিক ব্যবহার, বন ধ্বংস, পানিসম্পদ বিনষ্টসহ নানাভাবে প্রকৃতি বিনষ্ট হচ্ছে এবং প্রকৃতি এসব থেকে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ সপ্তম মাস্ট ভালনারেবল দেশ এবং বাংলাদেশকে বলা যায় জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো।”

তিনি আরও বলেন, ‘বন্যাপ্রবণ বাংলাদেশের দুই তৃতীয়াংশই সমুদ্রে পৃষ্ঠা থেকে মাত্র ১৫ ফুট উচ্চতায় রয়েছে। আমাদের দেশের প্রায় ৩ কোটি মানুষ গৃহহীন হয়েছেন অথবা হওয়ার শঙ্কায় আছেন। মাটির লবণাক্ততা এবং পানির অভাবসহ জলবায়ু পরিবর্তনের নানা প্রভাবে বাংলাদেশের কৃষি এবং অর্থনীতি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। তিনি বাংলাদেশের জলবায়ু সংশ্লিষ্ট পলিসি সমূহ যেমন ১৯৯৫ এর পরিবেশ রক্ষা আইন, ২০১০ এর জলবায়ু পরিবর্তন এবং ট্রাস্ট আইনসহ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের বিভিন্ন পদক্ষেপসমূহের অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের তথ্য উপাত্ত তুলে ধরেন।’

এছাড়াও তিনি বৈদেশিক এবং নিজস্ব অর্থ সহায়তায় সম্পাদিত কার্যক্রমগুলোর এবং এর বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনাসমূহ তুলে ধরেন। জলবায়ু অর্থায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সরকারি এবং বেসরকারি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা ব্লু এবং গ্রীন বন্ডকে উৎসাহিত করছি।

ইউএনডিপির ক্লাইমেট ফাইনেন্স নেটওয়ার্ক এবং UNWOMEN -এর উদ্যোগে সম্মেলনটি আয়োজনে সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ইন্দোনেশিয়া সরকারের ‘নারী ক্ষমতায়ন ও শিশু সুরক্ষা মন্ত্রণালয়’এবং ‘অর্থ মন্ত্রণালয়’ ।

সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও ডেভেলপমেন্ট পার্টনার অর্গানইজেশনগুলো ও সিভিল সোসাইটি অর্গানইজেশনগুলোসহ এ অঞ্চলের ১০ টি দেশ অংশগ্রহণ করে। ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ফিজি ও কম্বোডিয়া তাদের নিজে দেশের জলবায়ু ও লিঙ্গসমতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজেটিং এবং জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়টি সম্মেলনে তুলে ধরেন।

 

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত