চীন বিবৃতিতে বলেছে, ‘কাজাখস্তান স্বাস্থ্য বিভাগ এবং অন্য সংস্থা যৌথভাবে গবেষণা করে এখন পর্যন্ত নিউমোনিয়াটির ধরন জানতে পারেনি।’
জুনের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজাখস্তানে এই নিউমোনিয়া রোগীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে। কোনো কোনো জায়গায় প্রতিদিন শতাধিক রোগীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে চীনা দূতাবাস বলছে, আত্ররাউ, আক্টোবে এবং শিমকেন্ট অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৫০০ রোগী পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩০ জনের অবস্থা গুরুতর।
চলতি বছর কাজাখস্তানে এই নিউমোনিয়ার কারণে ১ হাজার ৭৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেখানে করোনায় ভুগে মারা গেছে ২৬২ জন।
নতুন নিউমোনিয়ার কারণে কাজাখস্তানে জুনেই শুধু প্রাণ হারিয়েছেন ৬২৮ জন। দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় গণমাধ্যম কাজিনফর্ম জানিয়েছে, জুনে রাজধানীতে নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতিদিন ২০০ জনের মতো রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। অনেকে আবার বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, চীন সরকার তাদের নাগরিকদের বাইরে বেশি ঘোরাফেরা না করার পরামর্শ দিয়েছে।
চীনের পক্ষ থেকে এই সতর্কবার্তা এমন সময়ে আসল যখন কাজাখস্তান নভেল করোনাভাইরাসে কঠিন সময়ের অপেক্ষায় আছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ২১ জন কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ৩৫ হাজার ১৩৭ জন।