আসন্ন দুর্গাপূজায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গুজব সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে। যে গুজব ছড়াবে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। আমাদের ভূখণ্ডে কোনো উগ্রপন্থি থাকতে দেব না। প্রত্যেক মণ্ডপে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করতে এবং স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মাদক একটি সামাজিক সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে এর মোকাবিলা করতে হবে। মসজিদের ইমাম, শিক্ষক-ছাত্র, পুরোহিত, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সমাজের সম্মানীয় ব্যক্তিদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এ অপরাধমূলক কাজের হার কমবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোনেরা কে কোথায় কী করছে তা যদি না দেখি, তাহলে আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা মাদক নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছি। আমাদের যে করেই হোক এ সমস্যা থেকে বের হতে হবে।
এ সময় তিনি মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকার জন্য প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি মাদকের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি যে দলেরই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহর সভাপতিত্বে সভায় রাজশাহী বিভাগের আট জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার অংশ নেন।
এর আগে সভার শুরুতে রাজশাহী বিভাহের আট জেলার গত জুলাই ও আগস্ট মাসে সংঘটিত বিভিন্ন অপরাধের সার্বিক চিত্র পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন বিভাগীয় কমিশনার।
তিনি জেলাগুলোতে পরিচালিত মোবাইল কোর্টের সংখ্যা, চোরাচালান প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিচালিত অভিযান, অবৈধ হাট-বাজার, দোকান-পাট ও উচ্ছেদকৃত স্থাপনার হালনাগাদ চিত্র এবং যৌন হয়রানি ও ইভটিজিং সংক্রান্ত অপরাধচিত্র তুলে ধরেন।
এছাড়া সভায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ স্ব-স্ব জেলার বর্তমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সংঘটিত অপরাধ ও কারাগারগুলোর পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।