এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম অর্থসংবাদকে বলেন, সাধারন বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই ফ্লোর প্রাইজ নির্ধারন করা হয়েছে। ফ্লোর প্রাইজের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্বান্ত নেয়নি বিএসইসি।করোনাকালীন সময়ের জন্য ফ্লোর প্রাইজ থাকবে। ফ্লোর প্রাইজ না থাকলে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তাই মার্কেট যখন স্বাভাবিক হবে, সুস্থ হবে তখন ফ্লোর প্রাইজের বিষয় চিন্তা করা হবে।মার্কেট যখন উঠতির দিকে থাকবে, ডিমান্ড সাইড শক্তিশালী হলে ফ্লোর প্রাইজের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সম্প্রতি তালিকাভুক্ত কয়েকটি কোম্পানিকে জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, একটি কোম্পানি ব্যাংকের স্টেটমেন্ট জালিয়াতি করেছে।বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই এই জরিমানা করা হয়েছে।বাকি যেসব কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে সবগুলোর অপরাধ বিএসইসির সার্ভাইল্যান্স সিস্টেসমে প্রমানিত হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারন বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।ভবিষ্যতে যেন কেউ এধরনের অপরাধে না জড়ায়, সে জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারে এখনই বিনিয়োগের উপযুক্ত সময়। পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বিএসইসি কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে গত শনিবার (১৮ জুলাই) চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) আয়োজিত ‘শেয়ারবাজারে করোনাভাইরাসের প্রভাব ও পুণ:রুদ্ধারের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে বিএসইসি চেয়ারম্যান প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।সেই বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যার মাধ্যমে এক ধরনের গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করেন কেউ কেউ। যার কারনে কমিশনের চেয়ারম্যান অর্থসংবাদের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের জন্য এ বিষয়টি পরিস্কার করেন।