সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে শহিদ ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদ আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠনে শান্তি এবং ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনপপ্রতিনিধিদের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা ও স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী এবং তার মনোনীত প্রার্থীদের এই দেশের মানুষ ভোট দেবে। কোনো ষড়যন্ত্র নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। ভোট অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি আরো বলেন, 'বিএনপি দুইটা কথা বলে; একটা হলো সংবিধান পাল্টানো দরকার, আরেকটা হলো পাকিস্তান সরকারই ভালো ছিল। জিয়া সংবিধান সংশোধন করে সাম্প্রদায়িকতা প্রবেশ করিয়েছিল। আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নেতৃত্বে সেটি সংশোধন করেছিলাম। তাহলে তারা কী আবার এটি সংশোধন করতে চায়? পাকিস্তানের প্রতি তাদের যে প্রেম এটা তারা জিয়ার আমল থেকে ধারণ করে এসেছে। এই বক্তব্য তার প্রমাণ। তারা রাজনৈতিক ভ্যাকুয়াম সৃষ্টি করতে চায়। তাই দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে হবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, ‘গণতান্ত্রিক লড়াই-সংগ্রামে শহিদ ময়েজউদ্দিনের অবদান আমরা সব সময় স্মরণ করব। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক ময়েজউদ্দিন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম সফল করতে গিয়েই ১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচিতে গাজীপুরের কালীগঞ্জে হরতাল পালনকালে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছেন।’
শহিদ ময়েজউদ্দিনের কন্যা ও ময়েজউদ্দিন স্মৃতি সংসদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে ও স্মৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন পল্টু, দ্য ডেইলি অবজারভার সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী।