ফলে ১ অক্টোবর থেকে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল এবং অন্যান্য পরিশোধিত পাম তেলের ওপর আগের মতোই মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ দিতে হচ্ছে আমদানিকারকদের।
সে হিসাবে ভ্যাট সুবিধা না থাকায় খুচরা বাজারে দামে ভোক্তা পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
যদিও এরই মধ্যে আমদানিকারকদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এনবিআরকে ব্যবসায়ীরা চিঠি দিয়েছে বলে জানা গেছে। তাদের দাবি ইতিবাচক হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে, দুই-একদিনের মধ্যে এ বিষয় নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র জানিয়েছে।
গত ১৬ মার্চ এনবিআর থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল এবং অন্যান্য পরিশোধিত পাম তেলের ওপর আরোপণীয় মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
এর আগে ১৪ মার্চ ভোজ্য তেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল এনবিআর। ওই আদেশ অনুসারে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়।
এরপর গত ৩০ জুন ভোজ্য তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট সুবিধার মেয়াদ তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র মতে, বর্তমানে বছরে ২০ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে ২ লাখ টন স্থানীয় বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয়। বাকি ১৮ লাখ টন আমদানি করা হয়।