চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬ দশমিক ১ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। সেই সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ তৃতীয় স্থানে থাকবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। প্রবৃদ্ধিতে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকবে মালদ্বীপ ও ভারত।
তবে চলতি অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি (জিডিপি) ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরে জিডিপি অর্জনে ভয়াবহ সংকটে পড়তে যাচ্ছে শ্রীলংকা ও পাকিস্তান। দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই দেশ প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিপদে থাকলেও বাংলাদেশ নিরাপদ জায়গায়ই অবস্থান করছে। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষে রয়েছে মালদ্বীপ। দেশটি ৮ দশমিক ১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। এর পরেই রয়েছে ভারত, দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরে শ্রীলংকার প্রবৃদ্ধি হবে ঋণাত্মক। দেশটি মাইনাস ৪ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে। শ্রীলংকার থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে আফগানিস্তান, দেশটির প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ছাড়া একই সময়ে ভুটান ৪ দশমিক ১, নেপাল ৫ দশমিক ১ এবং পাকিস্তান মাত্র ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে।
এদিকে, আর মাত্র চারদিন পর বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৯ সালের পর এবারই প্রথম সশরীরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই বার্ষিক সভা। আগামী ১০ অক্টোবর শুরু হয়ে এটি চলবে ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত।
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালও সভায় অংশ নেবেন। মহামারী, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, বিশ্বব্যাপী খাদ্য ও জ্বালানি সংকটের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাকে প্রাধান্য দিয়ে এবারের সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।