ভোটাধিকার প্রয়োগের পদ্ধতির স্বচ্ছতা, নিরাপদ ও প্রভাবমুক্ত করতে ইভিএম ব্যবহারের যথেষ্ট যৌক্তিকতা রয়েছে। কেন্দ্রদখল, ব্যালট পেপার ছিনতাই, জোর করে ব্যালট পেপারে সিল মারা, ব্যালট বক্স ছিনতাই সহ বিভিন্ন পেশিশক্তির হাত থেকে ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সর্বাধিক সংসদীয় আসনে ইভিএম ব্যবহার নির্বাচন কমিশনের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৩১টি পর্যবেক্ষক সংস্থার মোর্চা ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের উদ্যোগে শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে সিলেট প্রেস ক্লাবে “শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে ইভিএম ব্যবহারের যৌক্তিকতা” শীর্ষক আলোচনা সভায় সিলেট বিভাগের বিশিষ্ট নাগরিকরা তাদের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, যে সকল দেশে ইভিএম এ ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে সে সকল দেশ ইভিএম ব্যবহারে ব্যর্থ হয়েছে। বাংলাদেশের ইভিএম -এ ভোটারের উপস্থিতি ছাড়া ভোট দেওয়া যায় না এবং ইন্টারনেট সংযোগ না থাকার কারণে হ্যাকিং বা কারচুপির কোন সুযোগ নেই। এই মেশিনে ভোট হলে কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছা মতো যত খুশি ভোট দেওয়া যাবে না। তেমনই একজনের ভোট অন্যজন দিতে পারবে না। এর ফলে নির্বাচন কমিশনের মূলমন্ত্র “আমার ভোট, আমি দিব, যাকে খুশি তাকে দিব” শতভাগ নিশ্চিত করা সম্ভব। তাই ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম মনে করে, ইভিএম এর মাধ্যমে স্বচ্ছ, ত্রুটিমুক্ত নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন সম্ভব।
শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকার সংগঠক অধ্যাপক ড. ইসলাম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান ও সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী, বুয়েটের উপ-উপাচার্য ড. আব্দুল জব্বার খান, ইভিএম বিশেষজ্ঞ ড. মাহফুজুল ইসলাম, সিলেট জেলা আদালতের জেলা পিপি এ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সৈয়দ শামসুল আলম, সিলেট চেম্বার অব কমার্সের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি আবু সালেহ ইয়াহিয়া, সিলেট জেলা সভাপতি এ্যাডভোকেট শাহিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকন, সিলেট মহানগরের সভাপতি সাংবাদিক মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল, সাধারণ সম্পাদক তপন চন্দ্র পাল।