একেই বলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। চার-ছক্কা মেরে স্কোরবোর্ডে দ্রুত রান তুলে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে। সেটা যে দলই হোক। শক্তিশালী শ্রীলঙ্কা বলে মোটেও ভয় পেয়ে যায়নি নামিবিয়া। উল্টো নিজেদের সেরাটাই খেলেছে দলটি। শুরুতে দ্রুত কয়েকটি উইকেট হারালেও ঠিকই শ্রীলঙ্কার সামনে ১৬৪ রানের দারুণ চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে আফ্রিকান দেশটি।
টস জিতে নামিবিয়াকে ব্যাট করতে পাঠায় শ্রীলঙ্কা। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে কয়েকটি উইকেট হারালেও শেষের দিকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় আফ্রিকান দেশটি। মাঝারি মানের ৪/৫টি ইনিংসেই ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা।
লড়াইয়ের শুরুতেই পার্থক্যটা স্পষ্ট হয়ে উঠলো। লঙ্কান বোলিংয়ের সামনে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট করার চেষ্টা নামিবিয়ার। কিন্তু অভিজ্ঞ লঙ্কান ক্রিকেটাররা তাদের স্কোর করার পথ রূদ্ধ করে দেয়ার পাশাপাশি দ্রুত উইকেটও তুলে নিচ্ছে।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই শ্রীলঙ্কাকে ব্রেক থ্রু এনে দিলেন দুষ্মন্তে চামিরা। ৬ বলে ৩ রান করে প্রমোদ মধুশানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান মাইকেল ফন লিংগেন।
পরের ওভারের একেবারে শেষ বলটি ছিল গুড লেন্থের। ব্যাটার ডিভান লা কুক বলটিকে ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটের উপরের কানায় লাগিয়ে দেন। বল উঠে যায় উপরে এবং দাসুন শানাকা ক্যাচটি তালুবন্দী করে নেন। ১৬ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়তে শুরু করেছে নামিবিয়ার। ৫ম ওভারে গিয়ে তাদের তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটান চামিকা করুনারত্নে। তবে নিকোল লফটি ইটনের এই উইকেটটি নেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান উইকেটরক্ষক কুশল মেন্ডিসের। বাঁ-হাতে অসাধারণ একটি ক্যাচ ধরেন তিনি উইকেটের পেছনে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
১২ বলে ২০ রান করে আউট হন নিকোল লফটি ইটন। ১টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মারও ছিল তার ব্যাটে।