এবার আরও বড় লোকসানে পিকে হালদারের লুটপাট করা এফএএস ফাইন্যান্স

এবার আরও বড় লোকসানে পিকে হালদারের লুটপাট করা এফএএস ফাইন্যান্স

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত এফএএস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের লোকসানের পরিমাণ বেড়েই চলছে। পিকে (প্রশান্ত কুমার) হালদারের লুটপাটের শিকার প্রতিষ্ঠানটি সর্বশেষ হিসাববছরে প্রায় তিনশ’ কোটি টাকা লোকসান দিয়েছে। ফলে সমাপ্ত হিসাববছরে এবারও বিনিয়োগকারীদের কোন লভ্যাংশ দেবে না কোম্পানিটি।





সোমবার (১৭ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে লভ্যাংশ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় এফএএস ফাইন্যান্স। এদিন প্রতিষ্ঠানটির সমাপ্ত হিসাববছরের (৩১ ডিসেম্বর, ২০২১) নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।





সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে সমন্বিতভাবে এফএএস ফাইন্যান্সের শেয়ার প্রতি ১৯ টাকা ৯৪ পয়সা লোকসান হয়েছে। এ হিসেবে কোম্পানিটির এক বছরে মোট লোকসানের পরিমাণ ২৯৭ কোটি ২৬ লাখ ২ হাজার ৬৩৮ টাকা। আগের বছর (২০২০) কোম্পানিটির মোট লোকসানের পরিমাণ ছিল ২১৭ কোটি ৮০ লাখ ২০ হাজার টাকা।





উল্লেখ্য, এফএএস ফাইন্যান্সে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের ১৩০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের এক তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।





দুদকের প্রতিবেদেন অনুযায়ী, এফএএস ফাইন্যান্স থেকে কনিকা এন্টারপ্রাইজের এর নামে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণ নেওয়া হলেও ঋণের অর্থের সরাসরি অন্য ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে স্থানান্তর করা হয়।





২০১৬ সালের ০৮ মার্চ তিনটি চেকের মাধ্যমে টোটাল ট্রান্সপোর্টেশন লিঃ এর নামে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ১১.৫০ কোটি টাকা জমা হয়। একই মাসে তিনটি চেকের মাধ্যমে ৬.৭০ কোটি টাকা স্বপন কুমার মিস্ত্রির মালিকানাধীন সন্দীপ কর্পোরেশনের নামে ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখায় পরিচালিত হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।





মার্কেন্টাইল ব্যাংকের গ্রাহক প্রতিষ্ঠান প্রসেসিং প্ল্যান্ট লিমিটেডের ব্যাংক হিসাবে (চেয়ারম্যান: রতন কুমার বিশ্বাস) ৩.৩০ কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হয় ওই মাসেই। হাল ইন্টারন্যাশনাল এবং মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ব্যাংক এশিয়ার ধানমন্ডি শাখায় ০১ কোটি টাকা করে মোট দুই কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।





দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এমওএইচ ফ্যাশনের নামে ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল হিসেবে ঋণ নেয়া হলেও ঋণের সমুদয় অর্থ ফ্যাশন প্লাসের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রগতি স্মরণি শাখায় সরিয়ে নেয়া হয়।





এমটিবি মেরিন লিমিটেডের নামে ঋণ নেওয়া হলেও সে অর্থ এমটিবির ব্যাংক হিসাবে না গিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবে সরিয়ে নেওয়া হয়।





এভাবে ২০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয় যার কোন টাকা এই প্রতিষ্ঠানগুলোর হিসাবে যায়নি। এই টাকা পি কে সিন্ডিকেটের বিভিন্ন হিসাবে বিতরণ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে।





অর্থসংবাদ/ওয়ালিদ


আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত