ওয়াশিংটন ভিত্তিক ঋণদানকারী সংস্থার দলটির নেতৃত্ব দেবেন বাংলাদেশে আইএমএফ মিশন প্রধান রাহুল আনন্দ। প্রতিনিধিদলের দুই সপ্তাহের সফর শেষ হবে ৯ নভেম্বর।
আইএমএফ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আর্থিক সংস্কার নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করবে। এ ছাড়া বিভিন্ন নীতি পর্যালোচনা করবে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, একটি সম্ভাব্য বর্ধিত ক্রেডিট সুবিধা প্রোগ্রামে স্ট্রাফ লেভেলে চুক্তির দিকে অগ্রগতি করা এবং আগামী সময়ে রিসাইলেন্স অ্যান্ড সাবস্টেইনাবিলিটি ফ্যাসিলিটি (আরএসএফ) অ্যাক্সেস করা।
আরএমএফ’র লক্ষ্য, বাংলাদেশের মতো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোতে জলবায়ু ঝুঁকির বিরুদ্ধে স্থিতিস্থাপকতা তৈরিতে সহায়তা করার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা প্রদান করা। আইএমএফ’র প্রতিনিধিদলটি সফরের সময় অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গেও আলোচনা করবে।
এর আগে, গত সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের ঋণের অনুরোধের বিষয়ে রাহুল আনন্দ এবং আইএমএফ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আন্তোয়েনেট এম সায়েহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ১০ থেকে ১৬ অক্টোবর ওয়াশিংটনে আইএমএফের বার্ষিক বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
সূত্র জানায়, আইএমএফ ইঙ্গিত দিয়েছে; তারা বাংলাদেশের জন্য ৪.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পর্যন্ত ঋণ অনুমোদন করতে পারে। এরপরই শুক্রবার আইএমএফ’র পক্ষ থেকে বিবৃতি দেওয়া হয়।