প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া নাভানা ফার্মার শেয়ার লেনদেন চালু হয় গত ১৮ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। এ ঘোষণায় পরের কার্যদিবসে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক লাফে বৃদ্ধি পায় প্রায় ৮০ শতাংশ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) নাভানা ফার্মা বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। লভ্যাংশ ঘোষণার পর গতকাল শেয়ারবাজারের প্রথম কার্যদিবস ছিল। মাত্র ১১ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণার খবরে রোববার নাভানা ফার্মার শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছিল ৭৮ দশমিক ০৮ শতাংশ।
শেয়ারবাজারের নিয়ম অনুযায়ী, লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন সংশ্লিষ্ট কোম্পানির শেয়ারদরের কোন মূল্য সীমা (সার্কিট ব্রেকার) থাকে না। ফলে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি বা পতনে কোন বাঁধা থাকে না। তাই বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন সার্কিট ব্রেকারের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে একটি চক্র নাভানা ফার্মার শেয়ারদর বাড়িয়েছে।
তবে একদিনে দর আকাশচুম্বী বৃদ্ধি পাওয়ার ঠিক পরের দিনই কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহের শীর্ষে উঠে আসে। সোমবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দরপতন তালিকার শীর্ষে উঠে আসে সদ্য তালিকাভুক্ত হওয়া কোম্পানিটি। ডিএসই’র তথ্য অনুযায়ী, আজ কোম্পানিটির শেয়ারের দাম ৮ টাকা ৫০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক ও শেয়ারবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ অর্থসংবাদকে বলেন, একদিনে ৭৮ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি কোন গ্রুপ (কারসাজি চক্র) করতে পারে। নাভানা ফার্মার শেয়ারদর এত বেশি বৃদ্ধি ফান্ডামেন্টাল কারণে হয়নি। গতকাল যে গ্রুপ দর বাড়িয়েছে, আবার আজ কোন গ্রুপ দর কমিয়েছে।
অর্থসংবাদ/ওয়ালিদ