ঘোষিত মুদ্রানীতিতে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারকে বিশেষ গুরুত্বারোপ করে যুগপোযোগি ও বিনিয়োগ বান্ধব নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুঁজিবাজারে তারল্য বৃদ্ধি ও মানসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তির প্রয়াসকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছে। ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের সমর্থন পুঁজিবাজারের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন তথা সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএসইতে বৈশ্বিক পোর্টফোলিওর অংশীদারিত্ব এবং বাণিজ্য ও আর্থিক অংশগ্রহণ বৃদ্ধির কারণে গত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি মার্কেট এবং ডিএসই’র মধ্যে সুসংগত অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। কিন্তু বর্তমান করোনা মহামারীতে কিছুটা বাধাগ্রস্থ হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে পুঁজিবাজারের তারল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যেমন: (১) পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা শিথিল করা (২) বর্তমান বিনিয়োগ সীমার বাইরে পুঁজিবাজারের বিনিয়োগের জন্য ব্যাংক প্রতি ২০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠন (৩) ব্যাংকের জন্য নতুন লভ্যাংশ বিতরণ নীতিমালা (লভ্যাংশ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত এর মধ্যে ১৫ শতাংশ নগদে প্রদান) (৪) দীর্ঘমেয়াদী রেপো এবং অন্যান্য তারল্য বৃদ্ধির নীতিমালা গ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংকগুলিকে তহবিল পরিচালনা করার কাজটি সহজ করা। এ সকল উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ আকর্ষন জোরদার করার বিষয়ে গুরুত্বারোপকে ডিএসই অভিনন্দন জানাচ্ছে।
পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিকাশে সারা বিশ্বে নীতি-সমর্থন এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সম্পৃক্ততার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যে বলিষ্ট ভূমিকা থাকে, ঘোষিত মুদ্রানীতিতে পুঁজিবাজারের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সে ধরনের ভূমিকাই রয়েছে বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মনে করে।
এই মুদ্রানীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতের পাশাপাশি পুঁজিবাজারকে প্রধান্য দেওয়ার জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশ ব্যাংককে বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত থাকবে বলে দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে।
উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ ব্যাংকের মাননীয় গভর্নর জনাব ফজলে কবীর প্রথমবারের মতো তৃতীয় মেয়াদে গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পাওয়ায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালনা পর্ষদ তাকে আন্তরিকভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে।