দেশের মানুষ কোনো বিপদে নেই, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিকে নিয়েই দেশের মানুষ বিপদে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ মনে করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য বড় হুমকি হচ্ছে বিএনপি। মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র বিএনপির হাতে নিরাপদ নয়। বিএনপি তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্ব ঘোচানোর জন্য কখন কী ঘটিয়ে বসে তা নিয়ে জনগণ দুশ্চিন্তায় আছে।
দেশ নাকি গভীর সংকটে আছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, সংকটে দেশ নয়, গভীর সংকটে আছে বিএনপি, সংকটে তাদের পরাশ্রয়ী রাজনীতি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি প্রতিদিন আন্দোলনের হুমকি দেয়, কিন্তু তাদের আন্দোলনের নেতা কে সেটাই তারা জানে না। বিএনপির চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দুজনেই দণ্ডপ্রাপ্ত, একজন এতিমের টাকা আত্মসাৎ করায় দন্ডপ্রাপ্ত। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মহানুভবতায় ঘরে বসে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন।
‘আর একজন রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে কাপুরুষের মতো বিদেশে পালিয়েছে এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। নিরাপদ দূরত্বে থেকে নিজে বিলাসী জীবন-যাপন করছে, আর নেতাকর্মীদের চাঙা করতে দূর থেকে শব্দবোমা ছুড়ছে, স্বপ্ন দেখছে ক্ষমতার ময়ূর সিংহাসনের।’ যোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের জনগণ আর পেছনে ফিরে যেতে চায় না। দেশের মানুষ বিএনপি ও তাদের দুর্নীতির বরপুত্র, হাওয়া ভবনের স্রষ্টা, দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি তারেক রহমানকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।
তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে গণতন্ত্রের কোনো সংকট নেই, সংকট বিএনপির মনস্তত্ত্বে। বিএনপি সবসময় তাদের বক্তব্যে কৃত্রিম সংকটের গন্ধ পায়, তারা স্বাধীনতা গেলো বলে হা-হুতাশের রাজনীতি করে। বিএনপিকে এই সংকট থেকে উত্তরণে অপরাজনীতির কৌশল পরিহার করতে হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে বিএনপি সঠিক পথে ফিরে আসলেই তা দেশের রাজনীতির জন্য সহায়ক হবে।