জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে ইএফডি ও ইএসডি মেশিন স্থাপনের কাজ পেয়েছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত জেনেক্স ইনফোসিস লিমিটেড। এতে জেনেক্স ইনফোসিসের আয় হবে দুই হাজার ১২০ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) সকালে সেগুনবাগিচায় এনবিআর সম্মেলন কক্ষে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির আওতায় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি খুচরা প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট যন্ত্র বিতরণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ভ্যাট আদায়ের কাজ করবে জেনেক্স ইনফোসিস।
অনুষ্ঠানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে এনবিআরের পক্ষে সংস্থাটির সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. মইনুল খান চুক্তিতে সই করেন। জেনেক্স ইনফোসিসের পক্ষে সই করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান চৌধুরী ফজলে ইমাম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, চুক্তির শর্তানুযায়ী জেনেক্স ইনফোসিসকে প্রতিটি জোনে প্রথম বছরে ন্যূনতম বিশ হাজার ইএফডি ও এসডিসি যন্ত্র স্থাপন করতে হবে। এছাড়াও চুক্তির পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিটি জোনে মোট এক লাখ করে তিনটি জোনে পর্যায়ক্রমে ৩ লাখ ভ্যাট যন্ত্র সরবরাহ ও স্থাপন করতে হবে। কোনো জোনে নিবন্ধনযোগ্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া না গেলে জোনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় দরপত্রের আওতায় ভ্যাট যন্ত্র সরবরাহ ও স্থাপন কার্যক্রম বিস্তৃত করা হবে। এসব মেশিন স্থাপন হলে অতিরিক্ত ২০ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট আদায় হবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহের নতুন পার্টনারশিপ তৈরি হলো। ইএফডি মেশিন স্থাপিত হলে খুচরা পর্যায়ে বিক্রির তথ্য ইনভয়েস করার প্র্যাকটিস হবে। এর খুব অভাব রয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ভ্যাটের নেট বাড়ানো। নেট যখন বাড়বে তখন রেট কমে আসবে। যেকোনো ভালো কাজ বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ বেশি থাকে। আমাদেরও চ্যালেঞ্জ এসেছিল। চ্যালেঞ্জ ছিল বলেই কাজটি সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জেনেক্স ইনফোসিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ২১২ কোটি টাকা আয় হবে কোম্পানিটির। এই প্রজেক্টের মেয়াদ হলো ১০ বছর। সেই হিসেবে ১০ বছরে কোম্পানির আয় হবে ২ হাজার ১২০ কোটি টাকা।