আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জেসিআই বাংলাদেশ "প্রজেক্ট টিপ্যাড" নামে একটি নতুন প্রকল্প চালু করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় সিলেটের একটি চা বাগানের প্রায় একশ’ সুবিধাবঞ্চিত মহিলা চা শ্রমিকের এক বছরের মাসিক স্বাস্থ্যবিধির সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্ট, জেসিআই সিলেট প্লাটিনাম, জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেড, জেসিআই ঢাকা এইস, জেসিআই ঢাকা অ্যাস্ট্রাল, জেসিআই ঢাকা ইন্ডিপেন্ডেন্ট, সেভ সিলেট, বি পজেটিভ ফাউন্ডেশন এবং ঋতু এ প্রজেক্টের আয়োজন করেছে।
জেসিআই জানায়, বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ চা উৎপাদনকারী দেশ এবং চা বাগানগুলোতে নারী শ্রমিকদের প্রাধান্য হলেও তারা শুরু থেকেই অপর্যাপ্ত স্যানিটেশন সমস্যায় ভুগছে। যদিও ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সংস্থা সমস্যাগুলো নিরসনে নানাবিধ পদক্ষেপ নিয়েছে, তবে সেগুলো পর্যাপ্ত নয়। এসব দিক বিবেচনা করে ব্র্যান্ড ঋতু-র তৈরিকৃত রিইউজেবল স্যানিটারি ন্যাপকিন স্বল্প মূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। জেসিআই’র সদস্যরা স্যানিটারি ন্যাপকিনের অর্থায়ন করেছে। এছাড়াও এই ন্যাপকিনের ব্যবহার সম্পর্কে বিনামূল্যে চিকিৎসা শিবির, প্রশিক্ষণ ও সচেতনতামূলক অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের মাধ্যমে কার্যক্রমটি সম্পন্ন হয়েছে।
প্রজেক্ট টিপ্যাড এর বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক অ্যাথলেটিক খেলোয়াড় মারিয়ান চৌধুরী মাম্মী।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল, জেসিআই ঢাকা এইস এর সভাপতি ফাহিম আহমেদ, জেসিআই সিলেট প্লাটিনামের সভাপতি মোহাম্মদ এহসানুর রহমান, সেভ সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা আয়ান মুমিনুল হক, জেসিআই ঢাকা ইউনাইটেডের সভাপতি মোঃ এজাজুল হাসান খান, জেসিআই ঢাকা অ্যাস্ট্রালের সভাপতি সৈয়দা শাহ গুফতা নাজ, জেসিআই বাংলাদেশের জাতীয় পরিচালক সালেহীন মোহাম্মদ মাহদী।
জেসিআই ঢাকা ওয়েস্টের প্রেসিডেন্ট মোঃ আলতামিশ নাবিল জানান, “এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ছিল এই সুবিধাবঞ্চিত মহিলাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি এবং পুনরায় ব্যবহারযোগ্য স্যানিটারি ন্যাপকিন সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এই পর্বে আমরা প্রায় শতাধিক মহিলা চা শ্রমিকদের প্রকল্পটির আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি তবে আমাদের আশাবাদ ভবিষ্যতে সিলেট অঞ্চলের বাকী সমস্ত বড় চা বাগানের মাধ্যমে এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।”
জেসিআই একটি অলাভজনক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা যেখানে ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ সদস্যগণ সমাজে ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করতে কাজ করে। ১২০ টিরও বেশি দেশে সংস্থাটির কার্যক্রম রয়েছে। বাংলাদেশে জেসিআই এর ২৮টি স্থানীয় শাখা কাজ করছে।