জানা গেছে, বি ব্রাদার্স গার্মেন্টস স্থির মূল্য পদ্ধতির মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চেয়েছিল।
সূত্র জানিয়েছে, কোম্পানিটি আইন লঙ্ঘন করেছে এবং তার আর্থিক বিবরণীতে বাড়িয়ে দেখিয়েছে যাতে বিনিয়োগকারীরা তার শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে আরও আগ্রহী হন। এছাড়াও কোম্পানির শেয়ার মানি ডিপোজিটের টাকা একটি পৃথক ব্যাংক হিসাবে রাখার কথা থাকলেও সেটি না করে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রেখেছে। এর ফলে কোম্পানিটি আইপিও কন্সেন্ট এর শর্ত ভঙ্গ করেছে। আইপিও তহবিল থেকে বিল্ডিংয়ের অনুমোদিত লেআউট জমা দিতেও ব্যর্থ হয়েছে কোম্পানিটি।
কমিশন পর্যবেক্ষণ করে দেখেছে, টেক্সট লাইন ও স্পোর্টসওয়্যার এই দুইইউনিট থেকে কোম্পানিটির মোট আয়ের ৬৭ শতাংশ আয় আসে। ভবিষ্যতে যদি কোন একটি ইউনিটের ক্রয়াদেশ বাতিল হয় তাহলে কোম্পানিটি সমস্যায় পড়বে।
সুত্র জানায়, ৩০ জুন, ২০১৬ পর্যন্ত কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণীতে কেবলমাত্র একজন পরিচালক স্বাক্ষর করেছেন, যা কোম্পানি আইন ১৯৯৪ লঙ্ঘন হয়েছে। বিএসইসি মনে করে কোম্পানিটি ব্যাংক লোনের উপর প্রচুর নির্ভরশীল, ফলে নগদ প্রবাহ সংকট দেখা দিতে পারে।এছাড়াও কোভিড-১৯ এর মহামারীর কারনে কোম্পানিটির লাভের ক্ষেত্রে শীঘ্রই উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়তে পারে। যা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের জন্য হুমকী হতে পারে।
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্বে রয়েছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।