পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নতুন কোম্পানি লেনদেন শুরুই করতে পারেনি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভুলের কারনে। নতুন কোম্পানি ইসলামি কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের লেনদেন সিএসইতে বুধবার হলেও ডিএসইতে হয়নি। এজন্য নতুন তারিখ ঠিক করা হয়েছে ১৮ ডিসেম্বর।
এবিষয়ে ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘অনিবার্য কারণবশত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ১৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৮ ডিসেম্বর শুরু হবে।’
টালমাটাল পুঁজিবাজারে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের একের পর এক ভুলের মধ্যে এবার আইপিওতে টাকা তোলা কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন হলো না নির্ধারিত সময়ে।
নতুন তালিকাভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির লেনদেন শুরুর কথা ছিল বুধবার।
সুত্র জানায়, কোম্পানিটির ট্রেডিং কোডের ভুলের কারণে লেনদেন শুরু করা যায়নি। যার কারণে লেনদেনের সময়ে পরিবর্তন এনে আগামী ১৮ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানতে চাইলে ডিএসইর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা অর্থসংবাদকে বলেন, ট্রেডিং কোডের ভুলের কারণে লেনদেন শুরু করা যায়নি। নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। লেনদেন আগামী রোববার থেকে শুরু হবে। তবে কী ধরনের ভুল হয়েছে সেটা আইটির লোকজন বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে জানতে ডিএসইর চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) খায়রুল বাশার আবু তাহের মোহাম্মদের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। একই সাথে খুদে বার্তা পাঠালেও সেটিরও উত্তর দেননি তিনি।
এর আগে চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর ও ৩০ অক্টোবর কারিগরি ত্রুটির কারণে নির্ধারিত সময়ে লেনদেন করা সম্ভব হয়নি ডিএসইতে। এ ঘটনায় প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) জিয়াউল করিমকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৩৮তম সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদন দেয়া হয়। এন ক্যাটাগরিভুক্ত ইসলামী কমার্শিয়াল ইন্স্যুরেন্সের ডিএসইতে ট্রেডিং কোড হচ্ছে হবে ICICL, এবং এর কোম্পানি কোড ২৫৭৫৬। কোম্পানিটির আইপিওতে বরাদ্দ পাওয়া শেয়ার আবেদনকারীদের বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাবে গত ১৩ ডিসেম্বর পাঠিয়ে দেয়। গত ২০ নভেম্বর থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করা হয়।
পুঁজিবাজার থেকে ২০ কোটি ২৬ লাখ ১১ হাজার ৬০ টাকা তুলতে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ১০৬টি শেয়ার ইস্যু করে সাধারণ বিমা খাতের কোম্পানিটি।
সর্বশেষ প্রকাশিত ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী, কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৮২ পয়সা।
এই সময়ে পুনর্মূল্যায়নসহ শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৯৬ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন বাদে এটি ১৭ টাকা ৪৮ পয়সা।
কোম্পানির আইপিও ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট ও ইসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড। নিরীক্ষক হিসেবে কাজ করছে ইসলাম আফতাব কামরুল অ্যান্ড কোম্পানি।