আজ সকাল থেকে সর্বসাধারণের জন্য রাজধানীর আগারগাঁও স্টেশন থেকে উত্তরা দিয়াবাড়ি স্টেশন পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করবে মেট্রোরেল। প্রাথমিকভাবে এই রুটে মেট্রোরেল চলবে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
দুই ধরনের টিকিট নিয়ে চলাচল করা যাবে মেট্রোরেলে। প্রথমটি একবার যাত্রার জন্য (সিঙ্গেল জার্নি), দ্বিতীয়টি নিয়মিত যাতায়াতের জন্য স্থায়ী টিকিট বা এমআরটি পাস বা (পারমানেন্ট টিকিট)।
সিঙ্গেল জার্নির জন্য যাত্রীকে প্রতিবার যাত্রার আগে টিকিট কাটতে হবে। যাত্রা শেষ করে টিকিট স্টেশনের স্বয়ংক্রিয় দরজায় জমা দিয়ে আসতে হবে। কারণ, এই টিকিট জমা না দিলে দরজা খুলবে না, ফলে যাত্রী স্টেশন থেকে বের হতে পারবে না।
এমআরটি পাসের (পারমানেন্ট জার্নি) জন্য যাত্রীকে একবার একটি টিকিট কিনলেই হবে। টাকা শেষ হলে রিচার্জ করতে হবে। এই টিকিট যাত্রীকে স্টেশনে জমা দিতে হবে না। যাত্রীর কাছেই এই টিকিট থাকবে।
এ পাস নেওয়ার জন্য প্রথমে ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ওয়েবসাইট থেকে অথবা টিকিট কাউন্টার থেকে ফরম পূরণ করতে হবে। নাম, বাবা-মায়ের নামসহ সাধারণ কিছু তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করে মেট্রোরেলের যেকোনো একটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে যেতে হবে। টিকিট কাউন্টারে কার্ড মূল্য ও জামানত বাবদ দুইশ' করে মোট চারশ' টাকা জমা দিয়ে নেওয়া যাবে এমআরটি পাস।
একটি এমআরটি পাস কার্ডের মেয়াদ ১০ বছর। আর এতে ১০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত রিচার্জ করা যাবে।
এমআরটি কার্ডের রিচার্জ টিকিট ও টিকিট বিক্রয় মেশিন থেকেও করা যাবে। যারা নিজেরাই রিচার্জ করতে সক্ষম তারা বিক্রয় মেশিন থেকে টপআপ অপশনে গিয়ে রিচার্জ করবেন আর যারা অক্ষম তাদের টিকিট কাউন্টার থেকে রিচার্জ করিয়ে দেওয়া হবে।
ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী ছয় মাস পরে বিকাশ, ইউপেসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এ কার্ডে রিচার্জ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, এমআরটি পাস শুধু একজন ব্যবহারকরী ব্যবহার করতে পারবেন। তার সঙ্গে পরিবারের সদস্য থাকলে তাদের একক যাত্রার টিকিট সংগ্রহ করতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম