শ্রমিকদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- বিড়ি শিল্পকে শুল্ক মুক্ত করে শ্রমিককের মজুরী বৃদ্ধি করা, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর আগ্রাসন বন্ধ করা, সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করা এবং বহুজাতিক কোম্পানীর সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করা।
বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ফেডারেশনের সভাপতি এম.কে. বাঙ্গালী, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, কার্যকরী সদস্য আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী কমদামে অবৈধভাবে বিড়ি বিক্রি করায় সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাচ্ছে। আর প্রকৃত রাজস্ব প্রদানকারী বিড়ি শিল্প মালিকরা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এছাড়া ব্রিটিশ-আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানীর ষড়যন্ত্রে দেশীয় শ্রমিকবান্ধব বিড়ি শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তাদের আগ্রাসন বন্ধ করে প্রাচীন শ্রমঘন বিড়ি শিল্প রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। একইসাথে বহুজাতিক কোম্পানির সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি এবং সিগারেটের ন্যায় বিড়িতেও অগ্রিম আয়কর ৩ শতাংশ করতে হবে।
মানববন্ধনে শ্রমিকদের হাতে হাতে “নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পনী বন্ধ কর করতে হবে, দেশ থেকে বহুজাতিক বেনিয়া হঁটাও বিড়ি শ্রমিক বাঁচাও, অসাধু দুর্নীতিবাজ কাস্টমস কর্মকর্তার বিচার চাই বিচার চাই, বিড়ির শুল্ক কমলে নকল বিড়ি বন্ধ হবে, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো ফুসফুস পড়ায় এদেশে টাকা পাচার করে বিদেশে” সহ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন দেখা যায়।