জানা গেছে, কোস্পানিটি মূলত বাংলাদেশের শতভাগ রফতানিমুখী সোয়েটার শিল্পের জন্য ডায়িং ও ফিনিশিং ইয়ার্ন (সুতা) উৎপাদন করে। এমএল ডাইং ২০১৮ সালে ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয় করতে শেয়ারবাজার থেকে ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটি সময় মতো প্রকল্পটি শেষ করতে পারেনি।
জানা গেছে, এ বছর জুন পর্যন্ত এমএল ডাইং ৭ কোটি ৪৫ লাখ টাকা ব্যবহার করতে পেরেছে, যা আইপিও তহবিলের মাত্র ৩৭.২৫ শতাংশ ছিল। কোম্পানিটি যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামের জন্য ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যবহার করেছে, যা বরাদ্দকৃত অর্থের মাত্র ৩১.৪৪ শতাংশ
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানিটির এক কর্মকর্তা বলেছেন, করোনাভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার কারণে তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আইপিওর তহবিল ব্যবহার করতে পারেনি। এমনকি তারা বাকী যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য কোনও এলসি (ঋণ পত্র) খোলেননি। কোম্পানিটি চীন, জাপান, ইতালি, ভারত এবং জার্মানি থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি করার কথা ছিল।
এই কর্মকর্তা আরও বলেছেন, তারা সময় বাড়ানোর জন্য কমিশনে এখনও আবেদন করতে পারেনি, তবে খুব শিগগিরই সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করবে।
গত ২০১৮ সালের ১৪ মে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন এমএল ডাইংয়ের আইপিও অনুমোদন দেয়।
গত অর্থবছরের নয় মাসে কোম্পানিটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।