ইইউ’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার বলা হয়, জরুরি মানবিক প্রয়োজনে মোট তহবিলের মধ্য থেকে এক মিলিয়ন ইউরো বাংলাদেশকে দেওয়া হবে। কারণ বাংলাদেশের ২০ লাখেরও বেশি মানুষের স্বাস্থ্যবিধি ও জরুরি আশ্রয়ের জন্য পানি, স্যানিটেশনসহ খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।
অন্যদিকে, খাদ্য ও জীবিকা সহায়তাসহ জরুরি ত্রাণ সরবরাহ, পানি ও স্যানিটেশন সেবা দিতে ভারত ও নেপালকে যথাক্রমে ৫ লাখ ইউরো ও দেড় লাখ ইউরো দেওয়া হবে।
এর আগে ইইউ চলতি বছরে মে মাসে ভারত ও বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানসহ একাধিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য ১.৮ মিলিয়ন ইউরো সহায়তাসহ দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মোট ৩.৪৫ মিলিয়ন ইউরো দিয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়ায় বন্যায় রাস্তা, হাসপাতাল ও স্কুলসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ধ্বংস হওয়াসহ প্রাণিসম্পদ ও কৃষিজমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে প্রায় ১৭.৫ মিলিয়ন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক’র ইইউ মানবিক প্রোগ্রামের তত্ত্বাবধায়ক তাহীনি থাম্মান্নাগোদা বলেন, ‘চলতি বছর দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে বর্ষা ও বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। তাই তাদের আশ্রয় ও জীবিকার জন্য আমাদের মানবিক অংশীদার জরুরি অবদান রাখতে সাহায্য করবে।’
ইইউস একিউট লার্জ ইমার্জেন্সি রেসপন্স টুল (এএলইআরটি) এর অংশের তহবিলটি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ব্যবস্থা সরঞ্জাম হিসেবে সব ধরনের প্রোগ্রামিংয়ে অন্তর্ভুক্ত করবে।