শেয়ারবাজারে ব্লকে লেনদেনের নতুন নির্দেশনা আসছে, থাকছে ফ্লোর

শেয়ারবাজারে ব্লকে লেনদেনের নতুন নির্দেশনা আসছে, থাকছে ফ্লোর
ব্লকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করতে যাচ্ছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। দুই থেকে তিন লাখ টাকায় ব্লকে শেয়ার লেনদেন করতে পারবে বিনিয়োগকারীরা। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এছাড়াও ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার বা দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা ১ শতাংশের বেশি আরোপের বিষয়ে যে গুঞ্জন উঠেছে, তা সঠিক নয় বলেও জানিয়েছে বিএসইসি সূত্র।

জানা গেছে, বিএসইসির নিয়ম অনুযায়ী শেয়ারবাজারের ব্লকে লেনদেনের ক্ষেত্রে ন্যূনতম পাঁচ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল করতে হয়। তবে ব্লকে লেনদেন বাড়াতে এ শর্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। পাঁচ লাখ টাকার পরিবর্তে দুই অথবা তিন লাখ টাকায় ব্লকে লেনদেনের সুযোগ রাখা হবে। শীগ্রই এ বিষয়ে আদেশ জারি করবে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন।

এদিকে মূল বাজারে বেশির ভাগ শেয়ারই এখন নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। এসব কোম্পানির শেয়ারের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে যাওয়ায় শেয়ারের তেমন কোনো লেনদেন হচ্ছে না। অপরদিকে মূল বাজারের থেকে ব্লকে ফ্লোর প্রাইসের চেয়েও ১০ শতাংশ কমে শেয়ার লেনদেন করা যায়। যেহেতু ভালো মৌলভিত্তির বেশিরভাগ শেয়ারই এখন ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে, সেহেতু ব্লকে পাঁচ লাখ টাকার শর্ত শিথিল করলে বাজারে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে।

গত বছরের (২০২২) জুলাই মাসে শেয়ারবাজারে অনাস্থা চরম আকার ধারণ করে করে। জুলাইয়ের ১৯ কার্যদিবসের মধ্যে ১৪ কার্যদিবসই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচকের পতন হয়। এর মধ্যে ১২ জুলাই থেকে টানা ৯ কার্যদিবস টানা পতন হয় ডিএসইতে। প্রতিদিন দরপতন হতে থাকে শতাধিক কোম্পানির। ২৮ জুলাই ৫ হাজারের ঘরে নেমে আসে ‘ডিএসই এক্স’। এমন অবস্থায় টানা দরপতন ঠেকাতে ২৮ জুলাই শেয়ারবাজারে পুনরায় ফ্লোর প্রাইস জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন। সব সিকিউরিটিজের পাঁচ দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড় মূল্যকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়।

শেয়ারে সর্বনিম্ন দর নির্ধারণের পর কিছুদিন শেয়ারবাজারে স্বস্তি ছিল। ফ্লোর প্রাইস জারির পরের কার্যদিবসেই (৩১ জুলাই) সূচকের বড় উল্লম্ফন হয়। লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৮২ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬২টির শেয়ারদরই বৃদ্ধি পায়। সূচকে যোগ হয় ১৫৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। আর ফ্লোর প্রাইস জারির প্রথম সপ্তাহেই বাজার মূলধন বৃদ্ধি পায় ২১ হাজার কোটি টাকা।

সেপ্টেম্বরে সূচকের লাফ দেওয়ার প্রবণতা কমতে থাকে। কমতে থাকে শেয়ার লেনদেনের পরিমাণও। এমন অবস্থায় গত ১৫ নভেম্বর ব্লকে ফ্লোর প্রাইস থেকে ১০ শতাংশ কম দামে শেয়ার বিক্রির অনুমতি দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এরপর ব্লকে লেনদেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর মধ্যে গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে মোট লেনদেনের প্রায় ৫২ শতাংশ ব্লকের দখলে ছিল। ফলে ব্লকে লেনদেনের শর্ত শিথিল করলে বাজারে শেয়ার লেনদেনের গতি বাড়তে পারে। তাই দুই বা তিন লাখ টাকায় ব্লকে লেনদেনের সুযোগ দিচ্ছে বিএসইসি।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত