শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) অর্থসূচক ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপো-২০২৩ এর ‘বিনিয়োগ শিক্ষা ও পুঁজিবাজার’ বিষয়ক এক সেমিনারে বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা নিয়ে যারা চিন্তা করেছে তারাই লাভবান হয়েছে। অতীতের পুজিবাজার ধসের মূল কারণ ছিলো বিনিয়োগ শিক্ষার অভাব। মূল্যষ্ফীতি সহ অন্যান্য বিষয়ের প্রভাব পুঁজিবাজারে কিভাবে পড়ে সেটাও জানতে হবে। বিনিয়োগ শিক্ষার অনেক উপকারিতা রয়েছে। মূল্যস্ফীতি হলে পুঁজিবাজারে কি ধরনের প্রভাব পড়ে এ বিষয়ে জানতে হবে। বিনিয়োগ শিক্ষা নিয়ে জানাশোনা লোকজনই পুঁজিবাজারে আসে। যে সব দেশের মানুষ গণিতে ভালো তারা বিনিয়োগ শিক্ষা বেশি বুঝে। জমানো সব টাকা দিয়ে শেয়ার কেনা উচিত না। প্রতি মাসে অল্প করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করা উচিত। এভাবে বিনিয়োগ করলে শিক্ষা পুঁজিবাজারে কাজে লাগানো যাবে।
এসময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষাকে অর্থায়ন শিক্ষা হিসাবে বিবেচনা করা উচিৎ। এই শিক্ষা বয়স ও সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এধরনের শিক্ষাকে অনলাইন ভিত্তিক করা উচিৎ।
তিনি বলেন, বিনিয়োগ শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে অনেক গ্যাপ রয়েছে। তবে আস্থার ক্ষেত্রে কোনো ঘাটতি নেই। অভাব ও আস্থার ঘাটতি থাকলে বর্তমানেও অনেক বিনিয়োগ আসতো না। ব্যাংকগুলোতেও এখন নতুন-নতুন প্রজেক্টের অফার আসে। সবাই একসঙ্গে কাজ কাজ করলে দেশের পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি এগিয়ে যাবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে এই শিক্ষার পদ্ধতি সঠিক ভাবে এগিয়ে দেওয়া উচিৎ। তাদের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার। করোনার সময় স্কুল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইন হয়েছিলো। সেরকম ভাবে বিনিয়োগ শিক্ষাকেও অনলাইন করানো উচিৎ। এছাড়া তথ্যের প্রবাহ বাড়াতে হবে।
অর্থসংবাদ/এসএম