আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত লটারিতে ২৪৭ সিরিজের এ যাবতকালের সবচেয়ে বড় পুরস্কার জিতেছেন নোয়াখালীর ছেলে রয়ফুল। ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর টিকিটটি (টিকিট নম্বর ০৪৩৬৭৮) কিনেছিলেন তিনি।
তবে ১০৫ কোটি টাকা বিজয়ী হলেও পুরো টাকা একা পাচ্ছেন না রয়ফুল ইসলাম। এ টাকা হাতে আসার পর রয়ফুলসহ আরও ১৭ জনে ভাগ করে নিতে হবে।
মুহাম্মদ রয়ফুল ইসলামের সম্পের্কে জানা যায়, তিনি নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চরঈশ্বর রায় গ্রামের হাজি আসলাম মিয়ার বাড়ির মৃত খুরশেদ আলমের ছেলে। দুই বছর আগে একই উপজেলার ইসরাত জাহান রিসার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। তাদের এক বছর বয়সি একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
জীবিকার তাগিদে ২০১১ সালে দুবাই পাড়ি দেন রয়ফুল। সেখানে একটি কোম্পানিতে গাড়ির ড্রাইভারের চাকরি নেন তিনি। চার ভাইয়ের মধ্যে রয়ফুল তৃতীয়। তার বড় ভাই মো. বাবুল উদ্দীন একটি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারের চাকরি করেন। মেঝ ভাই মো. সাইফুল ইসলাম স্থানীয় একটি মসজিদে মুয়াজ্জিনের দায়িত্ব পালন করেন। ছোট ভাই মো. রুবেল উদ্দিনও দুবাই থাকেন।
এদিকে রয়ফুলের লটারি জয়ের খবরে তার বাড়িতে বইছে খুশির জোয়ার। তার স্ত্রী ইসরাত জাহান রিসা বলেন, আল্লাহর রহমতে আমার স্বামী লটারিতে জয়ী হয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি। চলতি মাসের ১০ তারিখে তার দেশে আসার কথা। বিমানের টিকিটও কিনে রেখেছেন। এখন তিনি যেন নিরাপদে বাড়িতে ফিরে আসেন সেই দোয়া করি।
জানা যায়, গত ৯ বছর ধরেই রয়ফুল লটারির টিকিট কেনেন। সবশেষ ১০ ডিসেম্বর এ টিকিট অনলাইনে কিনেন তিনি। রয়ফুলসহ ১৭ জন মিলে ২০ শেয়ারে ৫০০ দিরহাম মূল্যের এ টিকিটটি ক্রয় করেন তিনি, যেখানে তার তিন শেয়ার রয়েছে। ফলে লটারিতে জেতা ১০৫ কোটি টাকা এখন এই ১৭ জনের মধ্যে ২০ ভাগ হবে।
প্রসঙ্গত, প্রায় ৩ দশক আগে ১৯৯২ সালে আবুধাবি এয়ারপোর্ট ও শহরের প্রমোশনের জন্য 'বিগ টিকিট' লটারি চালু করা হয়। প্রতি মাসে এই লটারির ড্র হয়। প্রথম স্থানের জন্য পুরস্কারের অর্থের পরিমাণ প্রতি মাসে পরিবর্তন হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম