পরিচালনা পর্ষদে বিদেশি নাগরিক নিতে চায় এক্সেলসিয়র সুজ

পরিচালনা পর্ষদে বিদেশি নাগরিক নিতে চায় এক্সেলসিয়র সুজ
পুঁজিবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে থেকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে তালিকাভুক্তির অপেক্ষায় থাকা এক্সেলসিয়র সুজের ব্যবসায় মূলধন বিনিয়োগ করবে একজন বিদেশি নাগরিক। ওই বিদেশি নাগরিককে পরিচালনা পর্ষদে পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী কোম্পানিটির কর্তৃপক্ষ। তাই পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে বিদেশি নাগরিককে পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন জানিয়েছে এক্সেলসিয়র সুজ।

সম্প্রতি বিএসইসির চেয়ারম্যানের কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠিয়েছে এক্সেলসিয়র সুজের মোহাম্মাদ নুরুল কালাম আসওয়াদ।

বিএসইসির কাছে কোম্পানির আবেদনে বলা হয়েছে, এক্সেলসিয়র সুজ লিমিটেড শতভাগ জুতা প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি ১৯০৮ সালের ৩০ জুন নিবন্ধিত হয় এবং ৩০ এপ্রিল ১৯৯০ থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করে। কোম্পানির সার্বিক উন্নতির লক্ষে ১৯৯৭ সালের ২ ফেব্রুয়ারি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর কোম্পানিকে ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়। বর্তমানে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ৩০ কোটি টাকা এবং অনুমোদিত মূলধন ৫০ কোটি টাকা।

কোম্পানিটির চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরের ২৬ মে এবং ১ অক্টোবর চিঠির মাধ্যমে চীনের নাগরিক লি. ইউপেঙ কোম্পানির ইক্যুইটিতে বিনিয়োগ এবং পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ব্যাপারে নিজের আগ্রহের কথা লিখিত আকারে জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত বছর ১৬ অক্টোবর কোম্পানির পর্ষদের সভায় পরিচালকের উপস্থিতিতে লি. ইউপেঙয়ের ইক্যুইটিতে মূলধন বিনিয়োগ এবং পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্তের বিষয়টি নীতিগতভাবে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়েছে।

এ অবস্থায় কোম্পানির ইক্যুইটিতে মূলধন বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সেই বিদেশি নাগরিককে পরিচালক হিসেবে অন্তর্ভুক্তের অনুমোদনের জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে।

এর আগে, এক্সেলসিয়র সুজে দুই জন নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয় বিএসইসি। মনোনয়ন পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান আহমেদ ও মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।

বিএসইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সার্বিক দিক বিবেচনা করে এক্সেলসিওর সুজে দুই জন নতুন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর বিএসইসির জারি করা নির্দেশনা পরিপালন না করায় কোম্পানিতে দুই জন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

১৯৯৭ মূলধন ব্যয় এবং কার্যকরী মূলধনের প্রয়োজনীয়তা মেটানো এবং ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল এক্সেলসিয়র সুজ। তালিকাভুক্ত পর থেকে ২০০৩-০৪ অর্থবছর পর্যন্ত, কোম্পানিটি ভালো ব্যবসা করেছে। কিন্তু এরপর থেকে কোম্পানির আর্থিক অবস্থান অবনতি হতে থাকে। তবে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে কোম্পানিটি পুনরায় মুনাফায় ফেরে, যা ২০১০-১১ অর্থবছর পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। এর থেকে কোম্পানির সঠিকভাবে ব্যবসা চালিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে।

২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বিএসইসি ওটিসি মার্কেট বিলুপ্ত ঘোষণা করে। ফলে ওটিসি মার্কেটের আওতাভুক্ত কোম্পানিগুলোর আর্থিক সক্ষমতা ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে এসএমই প্ল্যাটফর্ম ও অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ডে (এটিবি) স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওটিসি মার্কেট থেকে এক্সেলসিয়র সুজকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি।

বর্তমানের এক্সেলসিয়র সুজের মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ লাখ। এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকের হাতে ৬.৩০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২৩ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৭০.৭০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।

অর্থসংবাদ/কেএ

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ফু-ওয়াং সিরামিকের লভ্যাংশ অনুমোদন
এক বছরে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা
ডিএসইতে মোবাইল গ্রাহক-লেনদেন দুটোই কমেছে
বছরজুড়ে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেয়েছে ৯ কোম্পানি
পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ আজ
বছরের ব্যবধানে পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৪০ শতাংশ
রবিবার পুঁজিবাজার বন্ধ থাকলেও চলবে দাপ্তরিক কার্যক্রম
লোকসানে ৮ খাতের বিনিয়োগকারীরা
সাপ্তাহিক রিটার্নে মুনাফায় ১০ খাতের বিনিয়োগকারীরা
খাতভিত্তিক লেনদেনের শীর্ষে প্রকৌশল খাত