হুয়াওয়ে-বুয়েট আইসিটি একাডেমি’র এই আনুষ্ঠানিক যাত্রা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারী) বুয়েট ক্যাম্পাসে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- বুয়েট ইইই ফ্যাকাল্টির ডিন প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ খসরু; বুয়েটের ইইই বিভাগীয় প্রধান ড. মো: আয়নাল হক; বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো: রুবাইয়াত হোসাইন মণ্ডল এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি।
বুয়েটের উপাচার্য ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমরা আইসিটি নির্ভরর্শীল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের তরুণ প্রজন্মকে প্রয়োজনীয় আইসিটি কেন্দ্রিক বিষয়ে দক্ষ করে তোলার উপযুক্ত সময় এখন। এমন বাস্তবতায় হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি অত্যন্ত সময়োপযোগী একটি উদ্যোগ, যা তরুণ শিক্ষার্থীদের এই খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে এবং আমাদেরকে স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে পূরণে সাহায্য করবে।’
হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের বোর্ড মেম্বার জেসন লি বলেন, ‘হুয়াওয়ে বুয়েট আইসিটি একাডেমি আমাদের স্কুল এন্টারপ্রাইজ কো-অপারেশন প্রোজেক্টের অংশ, যা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে আইসিটি খাত সংশ্লিষ্ট দক্ষতা অর্জনে ও একটি ট্যালেন্ট ইকোসিস্টেম তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বুয়েটের সাথে এই অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের আইসিটি খাতে দক্ষ জনগোষ্ঠী তৈরি করার মাধ্যমে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
এই একাডেমিতে পর্যায়ক্রমে ভিন্ন ভিন্ন ১৯টি বিষয়ে ৮৩টি সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম থাকবে। কোর্স ও সার্টিফিকেশন কো-অর্ডিনেট করবে হুয়াওয়ে অথোরাইজড ইনফরমেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি (এইচএআইএনএ)। শিক্ষার্থীরা সারা বিশ্বের তিন হাজারের বেশি প্রশিক্ষকের সাথে যোগাযোগের সুযোগও পাবেন।
প্রথম ব্যাচের ফাইভজি (সেলুলার এন্ড মোবাইল নেটওয়ার্ক), ও রাউটিং এন্ড সুইচিং (আইপি নেটওয়ার্কস) বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। কোর্স শেষে শিক্ষার্থীদের এই আইসিটি একাডেমি থেকে তাদের ফলাফলের ভিত্তিতে সার্টিফিকেট দেয়া হবে। আগ্রহীগণ https://gce.buet.ac.bd/facilities/huwaii-ict-academy ওয়েবসাইটে এই একাডেমির বিভিন্ন তথ্য পাবেন।
অর্থসংবাদ/কেএ