শুক্রবার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠক শেষে এ ঘোষণা দিয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেন, “মন্ত্রী পরিষদ এই অবস্থা আরও ১২ দিন ধরে রাখার ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে। মোট পুরো দুই সপ্তাহ আমাদের এই অবস্থায় থাকতে হবে।”
নতুন করে করোনা সংক্রমণহীন টানা ১০২ দিন পর গত মঙ্গলবার চারজন আক্রান্তের খোঁজ মিলে। আক্রান্তদের সবাই অকল্যান্ডের বাসিন্দা এবং তারা একই পরিবারের সদস্য। নতুন সংক্রমণের সংখ্যা এরই মধ্যে ৩০ জনে পৌঁছেছে।
উদ্বেগের ব্যাপার হলো যে, ‘ক্লাস্টার’ সংক্রমণ অন্য এলাকায়ও ছড়িয়ে পড়ছে। অকল্যান্ড থেকে ২১০ কিলোমিটার দূরের শহর টোকোরোয়ায়ও দুজন করোনারোগী পাওয়া গেছে।
দ্বিতীয় ধাপের সংক্রমণের উৎস উদ্ঘাটনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ। করোনার প্রথম ধাপের রোধ করায় অসাধারণ সাফল্যের পরিচয় ১৫ লাখ মানুষের দ্বীপ দেশটি।
এবারের সংক্রমণও দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনার ব্যাপারে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী আরডার্ন- “ব্যাপক টেস্ট ও কন্টাক্ট ট্র্যাসিংয়ের মাধ্যমেই শুরুর দিকেই আমরা এবারের সংক্রমণ শনাক্ত করতে পেরেছি।”
নিউজিল্যান্ডে করোনার প্রথম সংক্রমণের খবর পাওয়া যায় ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে। এখন পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্তের সংখ্যা মাত্র ১ হাজার ২৩৪ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ২২ জনের।