বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) গণভবনে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলরদের সমন্বয়ে গঠিত ‘বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ’ এর স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব আগমনের বার্তায় দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে না পারি তাহলে ওই জায়গাটা আমরা ধরতে পারব না। কাজে সেভাবে মাথা রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের অর্থনীতি তো কৃষিভিত্তিক। সঙ্গে সঙ্গে শিল্পায়নেও যেতে হয়। আমরা শিল্পায়নে যাচ্ছি কিন্তু একটা পরিকল্পিতভাবে যদি না যাই, আমার ছোট জায়গায় লোক সংখ্যা বেশি সেটা মাথা রেখেই আমরা ১০০টা শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলেছি। এর বাইরে কেউ শিল্পাঞ্চল করতে পারবে না। এসব অঞ্চলে পরিবেশ রক্ষা থেকে শুরু করে সব ধরনের সুবিধা আমরা করে দিচ্ছি। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ যেন হয়। যাতে আমাদের কৃষি জমি বেছে যায়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পৃথিবীর সব দেশে অ্যালামনাই থেকে তারা সহায়তা নেয়। একটা নভেল ফান্ড তৈরি করে তারা যদি টাকা দেয়, সেই টাকাটা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা ক্ষেত্রে কীভাবে ব্যয় করা যায়, সেভাবে চিন্তা করে যদি কাজ করা যায়, আমার মনে হয় তাহলে খুব বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা না।
সরকারপ্রধান বলেন, বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক যে বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি, সেখানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি যারা আছে, ব্যবসায়ী সম্প্রদায় যারা আছেন, সবাইকে যদি একটু সম্পৃক্ত করে রাখা যায়। তারা সেখানে সহযোগিতা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে যদি একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়, তাহলে আমার বিশ্ববিদ্যালয় চালানোর জন্য আমি একটা ফান্ড তৈরি করব। সেভাবে আমরা কিছু কাজ করব। সেটা করতে পারলে বিশ্ববিদ্যালয় অনেকটাই নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এটা কার্যকর করতে আরও দুইটা বছর সময় নিয়েছি। করোনাকালীন অতি মহামারি, এখন আরও সমস্যা সৃষ্টি হলো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে। তবুও ২০২৬ সালের মধ্যে আমরা আমাদের উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের যাত্রা শুরু হবে। সেই যাত্রা থেকে নিয়ে ২০৪১ সালে মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে উঠবো।
অর্থসংবাদ/এসএম