সিএসই সুত্র বলছে তারা কৌশলগত বিনিয়োগকারী সন্ধানে অনেক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। তবে কোভিড -১৯ মহামারীর কারণে এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক সভা করতে পারেনি। অনেক স্টক এক্সচেঞ্জ এবং প্রতিষ্ঠান কৌশলগত অংশীদার হওয়ার আগ্রহও দেখিয়েছিল।
ডিমিউচুয়ালাইজেশন আইন ২০১৩ অনুসারে কৌশলগত , প্রাতিষ্ঠানিক এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ৬০ শতাংশ শেয়ার বিক্রির বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এর মধ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে হবে। তারপর বাকি ৩৫ শতাংশ প্রাথমিক গনপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সাধারণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে হবে। অন্যদিকে, ৪০ শতাংশ শেয়ার স্টক এক্সচেঞ্জ বা ব্রোকারেজ ফার্মের সদস্যদের মালিকানাধীন থাকবে ।
ডিমিচুয়ালাইজেশন আইন অনুসারে, সিএসই কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের ২৫ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার কথা ছিল। ২০১৬ সাল থেকে সিএসই আবেদনগুলোর উপর ভিত্তি করে প্রতি বছর কৌশলগত বিনিয়োগকারী সন্ধানের জন্য সময় বাড়িয়ে চলছে।গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সিএসইর নিট মুনাফা ছিল ৩৯ কোটি ৭ টাকা, যা আগের বছর ছিল ৩৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। একই সময়ে এর শেয়ার প্রতি আয় ছিল ৬২ পয়সা এবং শেয়ার প্রতি নীট সম্পদ মূল্য ছিল ১১ টাকা ৮০ পয়সা।
এদিকে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ২৫ শতাংশ শেয়ার কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে চীনা কনসোর্টিয়ামের কাছে (শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ এবং সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ) কাছে স্থানান্তর করেছে। প্রতিটি শেয়ার ২১ টাকা দরে ২৫ শতাংশ শেয়ার ৯৬২ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে ডিএসই।