বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে,ফ্যামিলিটেক্স ও আরএন স্পিনিংয়ের বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কোম্পানি দুটির ব্যবসায়িকসহ সার্বিক অবস্থা নিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।স্টক এক্সচেঞ্জের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।
২০১০ সালে আইপিওতে আসা আরএন স্পিনিং মিলস নানা কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়েছে। কোম্পানিটির স্পন্সররা রাইট শেয়ার নিয়ে জালিয়াতি করে বিএসইসির কাছে ধরা পড়ে আইনী লড়াইয়ে নামে।মামলার কারণে কয়েক বছর এর বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। অন্যদিকে মামলা নিষ্পত্তির কিছুদিনের মধ্যে গত বছরের ৮ এপ্রিল কোম্পানির কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে।এতে ২০১৯ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরে কোম্পানিটির ৬০৭ কোটি ১১ লাখ ১৪ হাজার টাকা নিট লোকসান হয়।তালিকাভুক্তির পর থেকে বোনাস দিয়ে মূলধন বাড়াতে থাকা এই কোম্পানি সম্প্রতি পরিশোধিত মূলধন কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে আসা বস্ত্র খাতের কোম্পানি ফ্যামিলিটেক্স (বিডি)লিমিটেড বাজার থেকে ৩৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।তালিকাভুক্তির পরের বছরেই কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ বোনাস দেয়। এর পর থেকেই শুরু হয় মুনাফা ও লভ্যাংশের খরা। টানা তিন বছরধরে লোকসানে রয়েছে কোম্পানিটি। এর মধ্যে গত বছর কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের কোনো লভ্যাংশ দেয় নি।কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে বর্তমানে মাত্র ৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
আরএন স্পিনিংয়ের মালিকরাই ফ্যামিলিটেক্সের মালিকানা ও পরিচালনার নেপথ্যে আছে বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। একই মালিকদের আরও দুটি কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার কেমিক্যাল ও এমএল ডাইয়িং।