মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে সরকারদলীয় সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, এনবিআর গত ২০২১-২২ অর্থবছরে আগের অর্থবছর থেকে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় করেছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে এনবিআর রাজস্ব আদায় করেছে তিন লাখ এক হাজার ৬৩৩ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা। এর আগের অর্থবছরে আদায় হয়েছে দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৮৯ দশমিক ২০ কোটি টাকা। অর্থাৎ পূর্ববর্তী অর্থবছরের (২০২০-২১) তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৯৪৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
সরকারদলীয় আরেক সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বৈদেশিক বাজেট সহায়তা কমছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছে। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জন্য ২ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে থাকে। এসব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট প্রদান করে। কাজেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে- বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসব প্রকল্পের মধ্যে একটি গত বছরের ১৫ জুন, ৯টি গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে, ১০টি আগামী জুনে, ১৪টি এ বছর ডিসেম্বর, ১২টি আগামীর বছর, ১৩টি ২০১৫ সালে এবং ৬টি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সরকারদলীয় কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের পৃথক দুটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা আপতত নেই। তবে বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনঃনির্ধারণ করা হতে পারে।