কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ডেরেক শোলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন। এরই মধ্যে তার সফর উপলক্ষে একটি অগ্রবর্তী দল বাংলাদেশে এসেছে। দলের সদস্যরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনও করেছেন। ডেরেক শোলেরও রোহিঙ্গা শিবিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ডেরেক শোলের আলোচনায় দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের পাশাপাশি রোহিঙ্গা ও মিয়ানমার ইস্যু বিশেষ গুরুত্ব পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সার্বিক নিরাপত্তাসংক্রান্ত বিষয়গুলোও অগ্রাধিকার পেতে পারে।
এর আগে বাংলাদেশের একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ডেরেক শোলে বলেন, ‘বাংলাদেশের ওপর থেকে রোহিঙ্গাদের চাপ কমানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এজন্য কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ারও চেষ্টা চলছে। মিয়ানমারের পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ডেরেক শোলে বলেন, ‘এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ সফর করছেন।’
কোনো গণতন্ত্রই নিখুঁত নয় মন্তব্য করে ডেরেক শোলে বলেন, ‘কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সবসময় নিজেদের ভালো করার চেষ্টা করে এবং ভুল স্বীকার করে উন্নতি করার চেষ্টা করে। অংশীদারি ও বন্ধুত্বের চেতনা থেকেই সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, নাগরিক সমাজের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র।’
সূত্র অনুযায়ী, বিকালে ঢাকায় আসার পর ডেরেক শোলে সন্ধ্যায় বনানীর একটি রেস্তোরাঁয় নৈশভোজে অংশ নিতে পারেন।
আগামীকাল সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর বেলা সাড়ে ১১টায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর ১২টা ২০ মিনিটে প্রেস ব্রিফিং হতে পারে। এছাড়া ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসও পরিদর্শন করতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সেলর ডেরেক শোলে।