এ অঞ্চলের প্রধান স্বর্ণ ব্যবহারকারী দেশ ভারতে গত সপ্তাহে পণ্যটির দাম প্রতি ১০ গ্রামে সর্বকালের সর্বোচ্চ বেড়ে হয় ৫৮ হাজার ৮২৬ রুপি। বর্তমানে মূল্য কমে প্রতি ১০ গ্রামে ৫৬ হাজার ৪৯৬ রুপি হয়েছে। মুম্বাইভিত্তিক এক পাইকারি ডিলার বলেন, ‘মূল্যহ্রাসের কারণে জুয়েলার্স ও খুচরা ভোক্তাদের কাছে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে।’
এদিকে ১৫ শতাংশ আমদানি ও ৩ শতাংশ বিক্রয় শুল্কসহ দেশটির ডিলাররা সরকার নির্ধারিত মূল্যের ওপর আউন্সপ্রতি ১৮ ডলার পর্যন্ত ছাড়ের ঘোষণা দেয়, যা গত সপ্তাহের ৪৮ ডলার ডিসকাউন্ট থেকে কম।
মুম্বাইভিত্তিক একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডিলার বলেন, ‘প্রায় দুই মাস পর স্বর্ণের বাজারে খানিকটা গতি ফিরেছে। অনেক ক্রেতা আছেন যারা আমদানি শুল্ক কমার আশায় স্বর্ণ কেনাকাটায় বিরত ছিলেন। তাই স্বর্ণের দাম যদি আরো কমে তবে তারা কেনাকাটা শুরু করবেন।’
বাজারের দাবি সত্ত্বেও ১ ফেব্রুয়ারি পেশকৃত বার্ষিক বাজেটে ভারত সরকার স্বর্ণের আমদানি শুল্ক কমায়নি, বরং রৌপ্যের ওপর শুল্ক বাড়িয়েছে।
এদিকে শীর্ষ স্বর্ণের ভোক্তা দেশ চীনের ডিলাররা পণ্যটির বৈশ্বিক বেঞ্চমার্ক স্পট মূল্যের তুলনায় গত সপ্তাহে প্রতি আউন্সে ১২-১৫ ডলার বাড়িয়েছে, আগে যা ছিল ১০-১৫ ডলার।
এ সম্পর্কে চীনের এমকেএস পিএএমপির আঞ্চলিক পরিচালক বার্নার্ড সিন বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতাদের চাহিদা কমতে শুরু করেছে। তবে চীন তার রিজার্ভের ঝুড়িতে স্বর্ণের পরিমাণ বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যা মূলত চীনের মুদ্রাকে সুরক্ষিত করে।’
২০২২ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো এর রিজার্ভে রেকর্ড পরিমাণ ১ হাজার ১৩৬ টন স্বর্ণ যোগ করে। জানুয়ারির শেষে চীনের স্বর্ণ রিজার্ভের মূল্য ১২ হাজার ৫২৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে যেটির পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৭২৪ কোটি ডলার।
হংকংয়ের বাজারে স্বর্ণ আউন্সপ্রতি ২ ডলারে বিক্রি হয়। যদিও সিঙ্গাপুর বাজারে মূল্যনির্ধারণ করা হয়েছিল আউন্সপ্রতি ১-২ ডলার। উইং ফাং প্রিসিয়াস মেটালের প্রধান পিটার ফাং বলেন, ‘যেহেতু স্বর্ণের দাম কমেছে, আমরা কেনার আগ্রহ দেখতে পাচ্ছি। তবে উচ্চসুদের হারবিষয়ক উদ্বেগ রয়েছে।’