বৈদেশিক ঋণ ছাড় কমেছে ৪৪ কোটি ডলার

বৈদেশিক ঋণ ছাড় কমেছে ৪৪ কোটি ডলার
চলতি (২০২২-২৩) অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) হতাশাজনকভাবে কমেছে উন্নয়ন সহযোগীদের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি। একই সময়ে উন্নয়ন সহযোগীরা ঋণ ছাড় কমিয়েছে প্রায় ৪৪ কোটি মার্কিন ডলার। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ঋণ পরিশোধে এগিয়ে আছে সরকার।

সম্প্রতি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত ‘উইং ওয়াইজ ডিসবার্সমেন্ট প্ল্যান’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ অর্থবছরে ১২ বিলিয়ন ডলারের বিদেশি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে সরকারের। আগামী পাঁচ মাসে (ফেব্রুয়ারি-জুন) এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে বৈদেশিক ঋণ ছাড়ে শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী আমেরিকা-জাপান, তারপরও এই সময়ে ৪৪ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক ঋণ কম এসেছে। নানা উন্নয়ন প্রকল্পে উন্নয়ন সহযোগীরা ৪২৫ দশমিক ৯৪ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় করেছে। একই সময়ে আমেরিকা-জাপান ঋণ ছাড় করেছে ১১০ দশমিক ৭৫ মার্কিন ডলার, যা উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত অর্থবছরে একই সময়ে মোট ঋণ ছাড়ের পরিমাণ ছিল ৪৭০ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এবার বৈদেশিক ঋণ ছাড় কমেছে ৪৪ কোটি ডলার।

হালানাগাদ তথ্যে দেখা গেছে, বৈদেশিক ঋণ ছাড়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন-ভারত ১০৯ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে, তৃতীয় স্থানে বিশ্বব্যাংক, সংস্থাটি ৬৯ কোটি ডলার ঋণ ছাড় করেছে। এছাড়া ইউরোপ ৬০, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ৬৩, জাতিসংঘ ২ দশমিক ৯, মধ্যপ্রাচ্য ৫ দশমিক ৩ এবং নরডিক দেশগুলো ৩ দশমিক ৭ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ ছাড় করেছে।

এসময় উন্নয়ন সহযোগীদের বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতিও কমেছে আশঙ্কাজনক হারে। অর্থবছরের সাত মাসে বৈদেশিক ঋণের প্রতিশ্রুতি এসেছে মাত্র ১৭৬ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। অথচ গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিলো ৪৭০ কোটি ডলার। বছরের ব্যবধানে বিদেশিদের ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি কমেছে ৬২ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ বছর জানুয়ারিতে ঋণের প্রতিশ্রুতির শীর্ষে আছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। এ উন্নয়ন সহযোগীর কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৮৪ কোটি ডলারের ঋণ প্রতিশ্রুতি এসেছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রতিশ্রুতি এসেছে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে, যার পরিমাণ ৩০ কোটি ডলার। একই সময়ে নরডিক দেশ, আমেরিকা-জাপান ও মধ্যপ্রাচ্য কোনো ঋণ প্রতিশ্রুতি দেয়নি। তবে ইউরোপ ৩৫ দশমিক ৯, জাতিসংঘ ১ দশমিক ২ এবং এশিয়া ২৫ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

একই সময়ে বাংলাদেশের ঋণ পরিশোধের অবস্থা গত বছরের চেয়ে তুলনামূলক ভালো। অর্থবছরের সাত মাসে ঋণ পরিশোধ হয়েছে ১২৮ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, টাকার অঙ্কে যা ১২ হাজার ৪৩৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ঋণ পরিশোধ হয়েছিল ১২২ কোটি ১২ লাখ ডলার বা ১০ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা।

বিদেশি ঋণের পাইপলাইনে এ বছর আছে ৯৭২ কোটি ডলার। এরমধ্যে আমেরিকা ও জাপান থেকে আসার কথা রয়েছে ২৫৯ কোটি ডলার। এছাড়া বিশ্বব্যাংকের আইডিএ কর্মসূচির আওতায় পাইপলাইনে ২৩৫ কোটি ডলার এবং এডিবির পাইপলাইনে আছে ১৭৭ কোটি ডলার।

অর্থসংবাদ/এসএম

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

নতুন সুদহার নির্ধারণ করল বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারে ধ্বংস হচ্ছে জুয়েলারি শিল্প
বছর ঘুরলেও প্রবাসী আয়ে গতি ফিরেনি
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
গ্রাহক সংখ্যায় দেশসেরা প্রতিষ্ঠান নগদ
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
প্রথম দিনেই ২ লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেলো ইভ্যালি
তিন মাসের মধ্যে সব দেনা পরিশোধ শুরু করবো
পোশাকশিল্পকে রাজনৈতিক হাতিয়ার না বানানোর অনুরোধ
এক মাসের ব্যবধানে আলুর দাম বেড়েছে ৪৪ শতাংশ