এমসিসিআই সভাপতি বলেন, কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন বাঁধা নেই। তবে আমাদের প্রয়োজন হলে আগে ব্যাংকগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে এলসি করে দিতো। বাস্তবতা হচ্ছে এখন এলসি খুলতে সময় লাগছে।
ডলার সংকট নিয়ে তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে গত বছর থেকে দেশে তীব্র আকারে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। একই সাথে রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি আয় কমেছে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মাঝে আমদানি ব্যয় মেটাতে বাধ্য হয়ে রিজার্ভ থেকে খরচ করেছে সরকার। ফলে রিজার্ভের মাত্রা আগের বছরের তুলনায় বেশ কমে এসেছে। তবে রেমিট্যান্স বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। চলতি বছরের শুরুর মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। আগের বছরের শেষ প্রান্তিকে রপ্তানি আয়েও বেশ উন্নতি হয়েছে। ফলে ঋণাত্মক থাকা রিজার্ভের পরিমান সামান্য বেড়েছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলারে। যা জানুয়ারি মাসের তুলনায় দশমিক ৩৮ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা গত মাসে রিজার্ভ থেকে বড় অঙ্কের আকু বিল পরিশোধ করেছি। তবুও আমাদের রেমিট্যান্স এবং রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে রিজার্ভের পরিমান কিছুটা বেড়েছে। চলতি মাসের অর্ধেক সময় পর্যন্ত আমাদের রিজার্ভের হার ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি নিয়ে এমসিসিআই সভাপতি বলেন, চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ইতিমধ্যে প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৩২ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে এই অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে ৬০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
তৈরি পোশাক নিয়ে তিনি বলেন, দেশের রপ্তানি খাতে রাজস্ব করে বেড়াচ্ছে তৈরি পোশাক খাত। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে এই খাতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৪০ শতাংশ। হিসেব অনুযায়ী, আমাদের পোশাক খাতে প্রতি মাসে ৪ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, রপ্তানির বেলায় আমাদের শুধুমাত্র তৈরি পোশাকের উপর নির্ভর করা উচিত না। আমাদের বার্ষিক আয় বৃদ্ধির জন্য হলেও রপ্তানি বহুমুখীকরণ খুব জরুরি। এ ব্যাপার নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।
অর্থসংবাদ/ডব্লিও.এস/এসএম