সিমেন্ট শিল্পকে বাঁচাতে ৩ দফা দাবি করেছে বিসিএমএ

সিমেন্ট শিল্পকে বাঁচাতে ৩ দফা দাবি করেছে বিসিএমএ
দেশের সিমেন্ট শিল্প খাতের অবস্থা ভাল যাচ্ছে না। প্রায় দুই বছর ধরে সরকারি ও বেসরকারি খাতে সিমেন্টের চাহিদা নিম্নমুখী। চাহিদা মন্দার মধ্যেই এই খাতে আরোপ করা হয়েছে ৩% অগ্রিম আয়কর যা চূড়ান্ত দায় হিসেবে বিবেচিত। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে সিমেন্টের প্রধান কাঁচামাল ক্লিংকারের দাম কমলেও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সিঅ্যান্ডএফ চট্টগ্রাম মূল্য নির্ধারণ করে রেখেছে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে ১০ থেকে ১২ ডলার বেশি। তাতে কোম্পানিগুলোকে বাড়তি আমদানি শুল্ক দিতে হচ্ছে বলে উৎপাদন ব্যয় হচ্ছে বেশি। এতসব সমস্যায় সিমেন্ট প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলো যখন হিমসিম খাচ্ছে তখন এসেছে করোনাভাইরাসজনিত বড় আঘাত। সব মিলিয়ে এই খাতের অবস্থা হয়ে উঠেছে খুবই নাজুক।

এমন অবস্থায় সিমেন্ট শিল্পকে বাঁচাতে এনবিআরের কাছে ৩টি দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)। দাবিগুলো হচ্ছে- সিমেন্টে তৈরির মৌলিক কাঁচামাল ক্লিংকারের সিএন্ডএফ চট্টগ্রাম মূল্য (প্রতি টন) ৫০ মার্কিন ডলারের পরিবর্তে ৩৮ থেকে ৪০ ডলার বিবেচনায় প্রফরমা ইনভয়েস মূল্যে শুল্কায়ন; আরোপিত ৩% অগ্রিম আয়কর চূড়ান্ত দায় হতে অব্যাহতি অথবা ফেরতযোগ্যকরণ এবং পরিশোধিত অগ্রিম আয়কর প্রকৃত আয়করের চেয়ে অতিরিক্ত অংশ ফেরত প্রদানের জন্য আবেদন।

সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই দাবিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। বিসিএমএ সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানিয়েছে, এই তিন দাবিতে বিসিএমএ একাধিকবার এনবিআরের কাছে চিঠি দিয়েছে। বিসিএমএ নেতারা এনবিআর চেয়ারম্যানের সাথে দেখা করেও সিমেন্ট শিল্পের সংকটের বিষয়টি তুলে ধরে তা থেকে উত্তরণে ওই তিনটি বিষয় বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

বিসিএমএ’র সর্বশেষ চিঠিতে এসব বিষয় তুলে ধরে বলা হয়, দূর্ভাগ্য বশতঃ উল্লিখিত ৩টি বিষয়ের উপর যথেষ্ট যৌক্তিকতা, আমাদের সাক্ষাত, আবেদন-নিবেদন কোন কিছুই মূল্যায়নতো হয়ই নেই বরং আমরা মনে করি আমাদের উপর অর্থনৈতিকভাবে অন্যায় আচরণ করা হচ্ছে। আমাদের দিনের পর দিন লোকসান দিয়ে কোন রকম টিকে থাকতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। আরও কিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ার দ্বার প্রান্তে, জেনেও কোন প্রতিকার করা হচ্ছে না। জানিনা এভাবে আর কতদিন টিকে থাকা যাবে।

চিঠিতে বিসিএমএ সভাপতি বলেন, আমরা অবশ্যই শুল্ক প্রদান করব তা না হলে দেশ চলবে কি করে। নাগরিক দায়িত্ব পালনে আমরা যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করে আসছি এবং করতে চাই। আগে আমাদের টিকে থাকতে সাহায্য করুন। আপনি সরকারের একজন সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং অন্যতম নীতি নির্ধারক। আপনিই পারেন আমাদের টিকিয়ে রাখতে।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা
শরীয়তপুরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ব্যবসায়ী আহত
জাকসুর ভোট গণনা শেষ হতে পারে বিকেল ৪টায়
নির্বাচনের জন্য দেড় লাখ পুলিশকে দেওয়া হবে বিশেষ প্রশিক্ষণ
শেষ কার্যদিবসে সূচকের পতন, সামান্য কমেছে লেনদেন
২৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৪ কোটি ডলার
৭ জেলায় ঝড়-বজ্রবৃষ্টির আভাস, সমুদ্রবন্দরে সতর্কতা
লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি
আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট এমএফ ওয়ান: স্কিম ওয়ানের সর্বোচ্চ দরপতন
দেশের রিজার্ভ কমলো