সংগঠনের নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, ৫০০ টাকার খাবার খাইয়ে ২০০০ টাকা আদায়ের অভিনব এই কৌশল একটি নীরব চাঁদাবাজি ও জঘন্য হোটেল ব্যবসার সামিল।
সংগঠনের সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘সমাজে এখন বিয়ে মানে বাণিজ্য। কেননা প্রায় প্রতিটি বিয়েতে উপহার গ্রহণের জন্য আগে থেকেই অনুষ্ঠানস্থলের গেটের পাশে টেবিলসহ একজনকে কাগজ কলম নিয়ে বসিয়ে রাখা হয়। যাতে অতিমাত্রায় এবং উচ্চহারে নগদ টাকা কিংবা উপহার পাওয়া যায় এবং কে কি দিলো তা লিখে রাখা যায়।’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘যে কারণে আগে থেকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ব্যক্তিকে দাওয়াত দেওয়া হয়। কাছের আত্মীয় হওয়া সত্ত্বেও আর্থিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিবর্গ দাওয়াত পান না। আমরা সামাজিক এই বৈষম্যের অবসান চাই।’
চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘বিয়েতে কেউ যদি সহযোগিতা করতে চান সেটা খাতায় লিখে সবাইকে দেখিয়ে দিতে হবে কেন? এতে উপহারদাতা বিব্রত হয় সেটা বুঝতে হবে। উপহার দিতে হবে গোপনে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আয়োজক পক্ষের সামর্থ্য অনুযায়ী আয়োজন করা উচিৎ। সামর্থ্য না থাকলে বেশি মানুষকে দাওয়াত দেওয়ার দরকার নেই।’
এ সময় চির সবুজ সোসাইটি অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মো. বশীর পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মমিন খান, যুগ্ম সম্পাদক মো. ওমর, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মো. শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।