সোমবার (১৩ মার্চ) রাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া’র সঙ্গে এক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ৫০ বছরে এডিবি বাংলাদেশের জন্য ২৮.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশ ২১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পেয়েছে এবং ৬.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিশোধ করেছি। এখন এডিবির কাছে আমাদের বকেয়া ঋণ ১৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যা সরকারের মোট বৈদেশিক ঋণের প্রায় ২৪ শতাংশ।
বৈঠক শেষে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া রোববার (১২ মার্চ) বাংলাদেশ সফরে আসেন। ১৬ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থান করবেন তিনি।
এ সফরে এডিবি প্রেসিডেন্ট সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠক করেন। অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারত্বের ৫০ বছর উদযাপনের এই দিনটিকে একটি মহান দিন হিসাবে অভিহিত করেন।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতা অবহিত করে অর্থমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আমাদের উন্নয়ন একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। যার ফলে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের ‘গ্লোবাল রোল মডেল’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
তিনি বলেন, যেখানে ১৯৭২ সালে আমাদের জিডিপি ছিল মাত্র ৬.৩ বিলিয়ন ডলার। ২০০৯ সালে ১০০ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করতে প্রায় ৩৮ বছর সময় লেগেছিল। আর এখন আমাদের জিডিপি ৪৬০ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ পরিণত হয়েছে বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি ২০৪১ সালের মধ্যে ‘শীর্ষ ২০ অর্থনীতির’ দেশে পরিণনত হবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের এখন লক্ষ্য রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলা। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী বছরগুলোতে এডিবি আমাদের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বাস্তবায়নে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বাংলাদেশর অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও সক্ষমতার ভূয়সী প্রসংশা করেন। করোনা মহামারি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তা পুনরুদ্ধারে এডিবি শুরু থেকেই বাংলাদেশের পাশে থেকে সহযোগিতা করছে এবং ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের পাশে সবসময় এডিবি থাকবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতেমা ইয়াসমিন, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খান।
এডিবির পক্ষে দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের মহাপরিচালক কেনিচি ইয়োকোয়ামা, বিকল্প নির্বাহী পরিচালক আজিজুল আলম ও এডিবির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিনটি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদ/এসএম