ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির বলেন, চীন, ভারত এবং পশ্চিমা বিশ্ব ছাড়া আর কেউই ফার্মাসিউটিক্যালসে বাংলাদেশের মতো ভালো নয়। তাই এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। তিনি বলেন, চীন ও ভারতে যথাক্রমে ২২০ বিলিয়ন ডলার এবং ৪০ বিলিয়ন ডলারের ওষুধের বড় বাজার রয়েছে এবং তাদের বাজার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বাপি) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল মুক্তাদির আরো বলেন, ভারত বা চীন, কেউই বিশাল বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে যথেষ্ট নয়। সবাই একটি ইন্ডিয়া প্লাস ওয়ান খুঁজছে, যেখানে বাংলাদেশের বিশাল সুযোগ রয়েছে।
অধিবেশনের সঞ্চালক, সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শরিফা খাতুন বলেন, ওষুধ শিল্পের বিকাশের স্বার্থে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তিনি নতুন বাজার সম্প্রসারণ এবং মানসম্পন্ন ওষুধ উৎপাদন করতে ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশ বিজনেস সামিটের আয়োজন করে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। আয়োজনের অংশীদার ছিলো পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)।
সম্মেলনে যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, চীন, ভুটান, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ সাতটি দেশের মন্ত্রী, ১২টি বহুজাতিক কোম্পানির প্রধান নির্বাহী এবং ১৭টি দেশের দুই শতাধিক বিদেশী বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ী নেতা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।