তিনি বলেন, আইএফসি সুইস স্টেট সেক্রেটারিয়েট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের (এসইসিও) সাথে অংশীদারিত্বে সূচিত এই প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে দেশে পরিবেশগত, সামাজিক এবং শাসন (ইএসজি) অনুশীলনের উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রচেষ্টায় বিএসইসির চমৎকার সহযোগিতা পেয়ে আমরাও সৌভাগ্যবান।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইএফসির দ্বিপাক্ষিক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় দেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে টেকসই অর্থায়নের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভায় বিএসইসি এবং আইএফসির মধ্যে ন্যাশনাল সাসটেইনেবিলিটি বন্ডের গাইডলাইন বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এবং আইএফসির কান্ট্রি ম্যানেজার (বাংলাদেশ, ভূটান ও নেপাল) মার্টিন হল্টম্যান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ, আইএফসির অপারেশন অফিসার লোপা রহমান এবং বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. রেজাউল করিম।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি জানায়, এই চুক্তির মাধ্যমে চারটি উদ্দেশ্য অর্জন করা সম্ভব হবে। এগুলো হলো-
১. ইএসজি রেগুলেটরি এবং রিপোর্টিং ফ্রেমওয়ার্ক শক্তিশালী হবে, টেকসই বন্ড(ব্লু, গ্রীন, পিংক বন্ডসহ) সম্পর্কিত ফ্রেমওয়ার্ক উন্নয়নে সহযোগিতা করবে এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স কোড রিভিশনে বিএসইসি’র সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে আইএফসি।
২. স্থানীয় বাজার মধ্যস্থতাকারীদের ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহের সমস্যা/মান/সর্বোত্তম অনুশীলন সম্পর্কিত প্রশিক্ষণ/পরামর্শমূলক প্রোগ্রাম আয়োজনে সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৩. আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ডিউ ডিলিজেন্স মান এবং কর্পোরেট গভর্নেন্স অনুশীলনের উন্নতিসহ পরিবেশগত সামাজিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি তৈরিতে সহযোগিতা করবে।
৪. রিয়েল সেক্টর গ্রাহকদের বিনিয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে সহযোগিতা করবে এবং আইএফসি পোর্টফোলিও’র কোম্পানিগুলোর কার্যক্ষমতা উন্নত হবে।