বুধবার (২২ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে হজের খরচ কমানোর তথ্য জানানো হয়।
এখন নতুন করে যারা নিবন্ধন করবেন তারা ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমে করতে পারবেন। তবে ইতোমধ্যে যারা নিবন্ধন করেছেন তারা এ টাকা কীভাবে ফেরত পাবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখার উপ-সচিব আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, যারা সরকারিভাবে নিবন্ধন করেছেন তাদের টাকা ঢাকা অফিস থেকে খাবারের মূল্য ফেরত বাবদ একসঙ্গে দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে একজন হজযাত্রী খাবারের মূল্য ৩৫ হাজারের সঙ্গে সৌদি সরকারের কমানো টাকা ১১ হাজার ৭২৫ সহ মোট ৪৬ হাজার ৭২৫ টাকা ফেরত পাবেন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনা যারা যাবেন, তাদের টাকা তার নিবন্ধন করানো হজ এজেন্সি ফেরত দেবেন।
এ ব্যাপারে আবুল কাশেম মোহাম্মদ শাহীন বলেন, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ছিল চতুর্থ দফা নিবন্ধনের শেষদিন। শেষদিনে অনেক হজযাত্রী ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছিলেন। এই ভাউচারগুলো আমরা বাতিল করেছি। তাদের বলা হয়েছে, পরিবর্তিত প্যাকেজে আবার ব্যাংকে টাকা জমা দিতে।
খরচ কম ও সময় বাড়িয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ২৭ মার্চ হজ কার্যক্রম পরিচালনাকারী সব ব্যাংককে অফিস সময়ের পরও প্রস্তুতকৃত ভাউচারসমূহের অর্থ পরিশোধ না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকের শাখা খোলা রাখার জন্য অনুরোধ করা হলো। আগামী ২৫ মার্চ (শনিবার) ব্যাংক বন্ধ। তবে যেসব ব্যাংক হজ কার্যক্রম পরিচালনা করে তারা সংশ্লিষ্ট সব ব্যাংকের শাখাসমূহ খোলা রাখার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ করা হয়েছে হলেও জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হিজরি ১৪৪৪ (২০২৩ সাল) সনের হজের জন্য ঘোষিত প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত মিনার ৪টি (এ, বি, সি, ডি) ক্যাটাগরির সেবার মূল্য বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্য কমিয়েছে সৌদি সরকার।
এতে আরও বলা হয়, সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেহেতু মিনার তাঁবু ‘সি’ ক্যাটাগরি ধরে প্যাকেজ নির্ধারণ করা হয়েছে, সেহেতু সরকারি প্যাকেজমূল্য ৪১৩ সৌদি রিয়াল সমপরিমাণ (২৮.৩৯ টাকা ধরে) ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হলো। সেক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় বর্তমান হজ প্যাকেজ মূল্য (৬৮৩০১৫-১১৭২৫) ৬ লাখ ৭১ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহ্জ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের সঙ্গে হজচুক্তি অনুযায়ী, এবার বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার জন ও অবশিষ্ট এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন।
হজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, মোট এক লাখ ১৫ হাজার ৬৩৪ জন হজযাত্রী নিবন্ধন করেছেন। এরমধ্যে সরকারিভাবে ৯ হাজার ৮২৯ জন এবং বেসরকারিভাবে এক লাখ ৫ হাজার ৮০৫ জন নিবন্ধন করেছেন। কোটা পূরণে এখনো বাকি আছে ১১ হাজার ৫৬৪ জন।