নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর আমদানি, মজুদ, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি, ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) এফবিসিসিআই হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, আমরা আইন মেনে ব্যবসা করবো। সরকার আইন তৈরি করলে তার প্রতি সবাইকে শ্রদ্ধাশীল থাকা উচিৎ। ভোজ্যতেল, খেজুর, তেল, চিনিসহ ৬ ধরণের পণ্য সর্বোচ্চ মজুদ রয়েছে। চিনিও ব্যাপক মজুদ রয়েছে। এসব পণ্যে রমজানে কোনো সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, সরকার সিরিয়াস মনিটরিংয়ের মধ্যে আছে। কোন বাজারে বেশি মূল্য রাখা হলেই সরকার বাজার কমিটি বাতিল করবে। একই সাথে দাম বেশি নেওয়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্সও বাতিল করবে সরকার। আমরা চাই না রোজায় দাম বেশি নেওয়ার কারণে কেন ব্যবসায়ীর লাইসেন্স বাতিল হোক বা কাউকে আটক করা হোক।
তাই সবাই সক্রিয় ও সহনশীল থাকবো। দুবাইতে গরুর মাংস ৫০০ টাকা। আমাদের দেশে সেই দাম ৮০০ টাকা। তাহলে আমাদের উচিৎ আমদানি করা। আমদানি করলে মাংসের দাম অনেক কম পড়বে।
ব্যবসায়ীদের বেশি মুনাফা না করার আহ্বান জানিয়ে মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আপনাদের সমস্যা থাকতে পারে, তবে সমস্যাটি আমাদের জানাবেন। আমাদের সেলে জানান আমরা সমস্যা নিয়ে কথা বলবো। আমাদের টিমও বাজার মনিটরিং এ থাকবে। বাজারে খেজুর চাহিদার তুলনায় বেশি আছে। বাজারে চাহিদার পর্যাপ্ত রয়েছে ছোলা, পামওয়েল, সয়াবিনসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য।
এছাড়া রমজানে ব্যবসায়ীদের বাজার স্থিতিশীল রাখতে এফবিসিসিআই সভাপতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, রমজানে ধর্মীয় অনুভূতির ব্যাপার রয়েছে। তাই আপনারা বাজারে কোনো অস্থিরতা তৈরি করবেন না। অন্তত রমজান মাসে আপনারা সহযোগিতা করবেন।
এফবিসিসিআই’র পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতিসহ রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ও পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।