বুধবার (২২ মার্চ) অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮৬০ তম কমিশন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
উল্লেখ, ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশন (ইউএফএস) চারটি বেমেয়াদি (Open-end) মিউচুয়াল ফান্ড পরিচালনা করছে। গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায় কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হামজা আলমগীর ফান্ডগুলো থেকে টাকা সরিয়ে নিচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে বিএসইসি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে। এই তদন্তে ফান্ডর টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
গত ২ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক ইউএফএস এমডির ১৫৮ কোটি টাকা লোপাটের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এর সূত্র ধরে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ মিউচুয়াল ফান্ডর টাকা আত্মসাতের ঘটনা ইউএফএসের এমডির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা জানতে চেয়ে একটি আদেশ দেন। পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। পাশাপাশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটকে (বিএফআইইউ) এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
শেয়ারবাজারে চার মিউচুয়াল ফান্ডের ১৫৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে ইউনিভার্সাল ফাইন্যান্সিয়াল সলিউশনের (ইউএফএস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সৈয়দ হামজা আলমগীরের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না-জানতে চাওয়া হয় ওই রুলে। বিএসইসি, দুদক, আইসিবি ও বিএফআইইউকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম