ওই ঘটনায় ফেসবুকের ব্যর্থতার দায় নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জাকারবার্গ এবং ফেসবুকের ভুল স্বীকার করেছেন। জাকারবার্গ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কেনোসা শহরে বিক্ষোভের সময় গুলিতে দুজন মারা যাওয়ার আগেই এ ধরনের সশস্ত্র গ্রুপের পেজ বন্ধ করে না দেওয়াটা বিশাল পরিচালনাগত ভুল। গত বুধবার ওই পেজ সরিয়ে নেওয়া হয়।
ফেসবুকে কেনোসা গার্ড নামের পেজ ও ইভেন্ট খোলা নীতিমালার লঙ্ঘন। কারণ, গ্রুপটির সহিংস ধরন নিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছিল। ভয়েস অব আমেরিকার এক খবরে বলা হয়, জ্যাকব ব্লেক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকের ওই পেজে সশস্ত্র লোকজনকে কেনোসাতে আসতে বলা হয়। এ ঘটনায় এক সশস্ত্র যুবকের বিরুদ্ধে গুলি চালিয়ে দুজনকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার কেনোসাতে গুলির ঘটনার এক দিন পর ফেসবুকের পক্ষ থেকে কেনোসা গার্ড ফেসবুক পেজ ও ‘আর্মড সিটিজেনস টু প্রটেক্ট আওয়ার লাইভস অ্যান্ড প্রপার্টি’ ইভেন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রোববার উইসকনসিনের কেনোসায় এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবককে গুলির ঘটনা ঘিরে ফের উত্তাল হয়ে ওঠে যুক্তরাষ্ট্র। ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ স্লোগান তুলে তৃতীয় দিনের মতো কারফিউ ভেঙে গত মঙ্গলবার রাতে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, মঙ্গলবার রাতে একটি গ্যাস স্টেশনে বিক্ষোভকারী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জাকারবার্গ ফেসবুক পেজে অভিযোগ আসার পরও ব্যবস্থা না নেওয়া প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘পর্যালোচনাকারীরা প্রাথমিক অভিযোগ খতিয়ে দেখেননি। দ্বিতীয় পর্যালোচনায় এটি স্পর্শকাতর বিবেচনা করে কেনোসা গার্ডকে বিপজ্জনক সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটি আমাদের নীতিমালার পরিপন্থী হওয়ায় তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
তবে গোলাগুলির ঘটনায় যে যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি কেনোসা গার্ডের পেজ অনুসরণ করতেন না। ফেসবুক সম্ভাব্য বিপজ্জনক সংগঠনগুলো শনাক্ত করতে এর নীতিমালা পরিবর্তন করবে বলেও জানান জাকারবার্গ।