রোববার (২৬ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তিনটি এয়ারলাইন্সকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এয়ারলাইন্সগুলো হলো- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সৌদি এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স। হজ ব্যবস্থাপনার সুবিধার্থে এ তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
চিঠিতে বলা হয়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২৭ জুন হিজরি ১৪৪৪ সনের পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে হজ পালন করতে পারবেন। সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার স্বার্থে এবং মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়াসহ অন্যান্য কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য জরুরিভিত্তিতে ফ্লাইট শিডিউল জানা প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, জরুরিভিত্তিতে ফ্লাইট শিডিউল ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ-১ শাখায় পাঠানোর অনুরোধ করা হয় চিঠিতে।
এর আগে গত ১৯ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালনের অনুমতি পেয়েছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স হজযাত্রীদের ৫০ শতাংশ অর্থাৎ ৬৩ হাজার ৫৯৯ জনকে পরিবহন করবে। আগামী ২১ মে থেকে শুরু হবে চলতি হজ মৌসুমের হজ ফ্লাইট।
তিনি জানান, চলতি বছর হজযাত্রী পরিবহনে বিমানের নিজস্ব চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ইআর উড়োজাহাজ এবং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ব্যবহৃত হবে। প্রি-হজ ফ্লাইটে মোট ১৬০টি ডেডিকেটেড ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। এর মধ্যে ঢাকা-জেদ্দা রুটে ১১৬টি, ঢাকা-মদিনা রুটে ২০টি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা রুটে ১৪টি, চট্টগ্রাম-মদিনা রুটে ৬টি, সিলেট-জেদ্দা ও সিলেট-মদিনা রুটে দুটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সবশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী, হজের খরচ ১১ হাজার ৭২৫ টাকা কমানো হয়েছে। এছাড়া নতুন করে নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হয়েছে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী প্রাক-নিবন্ধন সিস্টেমের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালে হজে যেতে ইচ্ছুক ২ লাখ ৪৯ হাজার ২২৪ জন প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ৮ হাজার ৩৯১ জন। আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রাক-নিবন্ধন করেছিলেন ২ লাখ ৪০ হাজার ৮৩৩ জন। আগামী ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের নিয়ে প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশে রওনা হবে।