দেশটির সরকার বলছে, কম্প্রেহেনসিভ অ্যান্ড প্রগ্রেসিভ এগ্রিমেন্ট ফর ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ বা সিপিটিপিপি ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তি।
সরকারি হিসাব অনুযায়ী, এ ব্লকে থাকার ফলে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির আকারে দশমিক ০৮ শতাংশ যোগ হবে। যা প্রায় ৫০ কোটি মানুষের একটি বাজারকে প্রভাবিত করবে।
এই চুক্তিতে পনির, গাড়ি, চকোলেট, যন্ত্রপাতি, জিন ও হুইস্কির মতো পণ্যের ওপর শুল্ক কমে যুক্তরাজ্যে রফতানি বৃদ্ধি পাবে।
সিপিটিপিপি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এর সদস্য দেশ হলো অস্ট্রেলিয়া, ব্রুনাই, কানাডা, চিলি, জাপান, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নিউজিল্যান্ড, পেরু, সিঙ্গাপুর ও ভিয়েতনাম।
সিপিটিপিপি সদস্যরা পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্যের ওপর বিধিনিষেধ ও পণ্যের ওপর শুল্ক শিথিল করে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছে, চুক্তিটি ব্রেক্সিট-পরবর্তী স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থনৈতিক সুবিধা দিচ্ছে।
আরো বলেন, সিপিটিপিপির অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য এখন নতুন চাকরি, প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনের স্থান দখলের ক্ষেত্রে বিশ্ব অর্থনীতিতে অন্যতম অবস্থানে রয়েছে।
এর মাধ্যমে ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানগুলো ইউরোপ থেকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত বাজারে তুলনাহীন প্রবেশের সুবিধা পাবে বলেও মনে করেন তিনি।
এই ব্লকে থাকা ১১ সদস্যের হাতে রয়েছে বৈশ্বিক আয়ের প্রায় ১৩ শতাংশ। প্রায় ২১ মাসের আলোচনার পর প্রথম ইউরোপীয় দেশ হিসেবে এতে যোগ দিয়েছে যুক্তরাজ্য।
অবশ্য যুক্তরাজ্যের যোগদান থেকে লাভের পরিমাণ সামান্য হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ দেশটির এর মধ্যেই ব্রুনাই ও মালয়েশিয়া ছাড়া অন্য সদস্যের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি রয়েছে। যা ১০ বছরে অর্থনীতির আকারে মাত্র দশমিক ০৮ শতাংশ যোগ করবে। পূর্বাভাস প্রদানকারী অফিস ফর বাজেট রেসপনসিবিলিটি (ওবিআর) এর আগে বলেছিল, ব্রেক্সিট দীর্ঘ মেয়াদে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি প্রায় ৪ শতাংশ কমিয়ে দেবে।
অর্থসংবাদ/এসএম