বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে পাঠানো এক চিঠিতে এই প্রস্তাব দেয় সংগঠনটি।
এইচএমপিআইএবি’র সভাপতি এ এম এফ আসিফ সই করা চিঠিতে বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্য যেমন- বার্গার পেটি, সচেজ, নাগেটস উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে স্বাস্থ্যসম্মত মাংসজাত পণ্য সরবরাহ করে আসছে।
সম্ভাবনাময় নতুন এই শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্যের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট রয়েছে। এছাড়া উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে এসব পণ্য শীতলীকরণ ব্যবস্থা রাখতে হয়, ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ভোক্তাপর্যায়ে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি পায়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, অপ্রাতিষ্ঠানিক উপায়ে (বাসা-বাড়িতে) উৎপাদিত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্যে বাজার সয়লাব। যারা ১৫ শতাংশ ভ্যাটের আওতার বাইরে। ফলে বাণিজ্যিক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া সরকার বড় ধরনের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় মূল্য সংযোজন কর (মূসক) হার সংকুচিত করে, অপ্রাতিষ্ঠানিক উৎপাদিত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড পণ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ফাস্টফুড পণ্যের মূল্যের তারতম্যের সমন্বয় করে এই শিল্প সম্প্রসারণে সহায়তা প্রয়োজন।
চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রক্রিয়াজাত মাংসভিত্তিক ফাস্টফুড শিল্পটি রেস্টুরেন্ট ব্যবসার প্রাতিষ্ঠানিক রুপান্তরক ও অন্যতম যোগানদাতা। একই সঙ্গে ফাস্টফুড পণ্যগুলো রেস্টুরেন্ট পণ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভোক্তাপর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করতে হয়। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক এই শিল্পটি প্রসার লাভ করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে রেস্টুরেন্ট পর্যায়ের ভ্যাটের হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। যা উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাটের হারের সঙ্গে অসঙ্গতি সৃষ্টি করে। এই চ্যানেলগুলোতে ভ্যাটের হারের তারতম্যের কারণে ইনপুট ভ্যাট ও আউটপুট ভ্যাটের হারের সামঞ্জস্যতা রাখতে পারছে না।
এমন অবস্থায় মূল্য সংযোজন কর সহনীয় করে এই শিল্পের প্রসারের জন্য রাজস্ব বোর্ডের সহায়তা চায় সংগঠনটি।
অর্থসংবাদ/এসএম