শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিএসসির উপ-সচিব ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
গত বছরের ২ মার্চ ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে নোঙ্গর করে থাকা অবস্থায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। এ ঘটনায় বিমাদাতা কোম্পানির কাছে কনস্ট্রাকটিভ টোটাল লস (সিটিএল) দাবি উপস্থাপন করে শিপিং কর্পোরেশন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিমা চুক্তির 'ব্লকিং অ্যান্ড ট্র্যাপিং' শর্তানুযায়ী, বিমাকারী ও পুনঃবিমাকারী দাবির অংক ২২ দশমিক ৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দ্রুত আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। দাবিকৃত এই অর্থের মধ্য থেকে বিমা প্রিমিয়াম বাদ দিয়ে বিএসসিকে ১৪ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জাহাজটি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে যায়। বন্দরের ইনার অ্যাংকরেজে অবস্থানকালে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হয়। এসময় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। বন্দরের প্রবেশমুখে মাইন স্থাপন এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতি না পাওয়ায় জাহাজটি সেখান থেকে বের হতেও পারছিল না।
ওই বছরের ২ মার্চ ইউক্রেনের স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১০ মিনিটে ক্ষেপনাস্ত্র হামলার শিকার হয় বাংলাদেশি জাহাজটি। এসময় জাহাজের তৃতীয় প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমান নিহত হন। হামলায় ব্রিজরুমসহ সকল নেভিগেশন টুলস্ সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
পরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের সহায়তায় ওই বছরের ৯ মার্চ জাহাজের নাবিকদের এবং ১৪ মার্চ নিহত প্রকৌশলী মো. হাদিসুর রহমানের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয় বিএসসি। ১৬ জুন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ক্ষতিগ্রস্ত নাবিক ও তাদের পরিবারকে মোট ৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান করে।